নিজের চূড়ান্ত খারাপ দিনেও যে জিততে পারেন, আবারও সেই প্রমাণ দিলেন নোভাক জকোভিচ। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে স্বদেশীয় লাসলো জেরের বিরুদ্ধে প্রথম দুই সেটে হেরে গিয়েও প্রত্যাবর্তন করেন সার্বিয়ান তারকা। ৪-৬, ৪-৬, ৬-১, ৬-১, ৬-৩ ব্যবধানে জিতে নিজের পতন রুখে দেন। সেটা না হলে ২০০৬ সালের পর ফ্লাশিং মেডো থেকে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি ছিটকে যেতেন বিশ্বের দু'নম্বর তারকা। সেটা অবশ্য হয়নি। বরং প্রথম দুটি সেটের হারের পরেও জয়ের রেকর্ড আরও ভালো করলেন। দীর্ঘ কেরিয়ারে প্রথম দুটি সেটে হারের পর এই নিয়ে অষ্টমবার ম্য়াচ জিতলেন জকোভিচ। সেইসঙ্গে পাঁচ সেটে ম্যাচে জয়ের পরিসংখ্যান দাঁড়াল ৩৮-১১।
জকোভিচ বলেন, ‘বাকি খেলোয়াড়দের একটি বার্তা গেল যে আমি এখনও পাঁচ সেটের ম্যাচ খেলতে পারি। গভীর রাতে গিয়েও খেলতে পারি। দুই সেট হেরে পিছিয়ে পড়ার পরও ম্যাচ জিতলে ভবিষ্যতের প্রতিপক্ষের কাছে একটা বার্তা যায়।’ সেইসঙ্গে সার্বিয়ান তারকা বলেন, ‘তবে সত্যি কথা বলতে আমি এরকম জায়গায় থাকতে চাইনি। আমি স্ট্রেট সেটে জয় পছন্দ করি। তাই আশা করছি যে আগামী ম্যাচে আমি ছন্দে ফিরে আসব।’
আগামী ম্যাচে ২৫ বছরের ক্রোয়েশিয়ান কোয়ালিফায়ারের বিরুদ্ধে জকোভিচ ছন্দে ফিরবেন কিনা, সেটা সময় বলবে। কিন্তু তৃতীয় রাউন্ডে স্বদেশীয় খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে প্রথম দুই সেটে জকোভিচের পেশাদার টেনিস কেরিয়ারের অন্যতম খারাপ দিন কাটে। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে জকোভিচের নড়াচড়া দেখে একেবারেই জকোভিচ-সুলভ মনে হচ্ছিল না। বলের নিয়ন্ত্রণও ঠিক রাখতে পারছিলেন না। লম্বা র্যালিতেও দাপট দেখাতে পারছিলেন না। প্রথম দুটি সেটে ৪৪ টি পাঁচ বা তার বেশি স্ট্রোকের র্যালিতে ২৮ পয়েন্ট হারান জকোভিচ। সবকিছু যেন তাঁর বিপক্ষে যাচ্ছিল।
আর এরকম অবস্থায় জকোভিচ সাধারণত যেটা করে থাকেন, আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামেও ঠিক সেটাই করেন। তৃতীয় সেট শুরু হওয়ার আগে লকার রুমে গিয়ে পোশাক বদলে আসেন। আর তারপর অধিকাংশ সময় যেমন হয়, এবারও ঠিক সেটাই হয়। একেবারে অন্য জকোভিচ যেন কোর্টে নামেন। তৃতীয় সেট থেকে ঘুরে দাঁড়ান জকোভিচ। তারপর আর স্বদেশীয়কে কোনও সুযোগ দেননি বিশ্বের দুই নম্বর তারকা। ৪-৬, ৪-৬, ৬-১, ৬-১. ৬-৩ ব্যবধানে জিতে নিউ ইয়র্কে গ্র্য়ান্ডস্ল্যাম জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখেন।
আর তৃতীয় সেটের আগে সেই পোশাক পরিবর্তনের পরে কীভাবে একেবারে অন্য প্লেয়ার হয়ে গেলেন, ম্যাচের পর সেই ব্য়াখ্যাও দেন জকোভিচ। তিনি বলেন, ‘আয়নায় দেখে পেপটক দিই নিজেকে। আমি নিজের দিকে হাসতে থাকি। কারণ আমি অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছিলাম। নিজের লড়াইয়ের ক্ষমতা তুলে ধরতে নিজেকে বাধ্য করি আমি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।