ভারতে মারুতি সুজুকির গাড়ির সবচেয়ে বেশি বিক্রি। এর তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, বাজেটের মধ্যে দাম। দ্বিতীয়ত, দুর্দান্ত মাইলেজ। তৃতীয়ত, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কম। এই তিনটি কারণেই মারুতি গাড়ির এত বিশ্বাসযোগ্যতা। তার পাশাপাশি, ধীরে ধীরে বাড়ছে মারুতির সিএনজি গাড়ির জনপ্রিয়তাও।
আমজনতার বক্তব্য, পেট্রল-ডিজেলের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে উপায়ও নেই। সাধারণ মানুষ সিএনজি মডেলের দিকে ঝুঁকছেন। মারুতির বেশিরভাগ মডেলেরই সিএনজি ভ্যারিয়েন্ট হয়। তবে আপনি যদি চলতি মাসে মারুতি গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করেন, তবে সেক্ষেত্রে একটি দুঃসংবাদ রয়েছে। আপনাকে ডেলিভারির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। মে মাসেই গাড়ির ডেলিভারির অপেক্ষায় ৩.২৫ লক্ষ ক্রেতা। আরও পড়ুন: পরিবেশের জন্য ভালো, দেশের সবচেয়ে সস্তার ৫ CNG গাড়ি, দেখে নিন একনজরে
অটোকারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংস্থার সিনিয়র ইডি শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব বলেন, মারুতির সিএনজি মডেলের চাহিদা বেড়েছে। মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেড (MSIL)-এর সম্পূর্ণ পোর্টফোলিও বিক্রির ১৭%-ই সিএনজি গাড়ি। কোম্পানির একই মডেলের বেশ কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। বেশিরভাগ গ্রাহক কোম্পানির বেস ভেরিয়েন্টের দিকেই যান। তবে সিএনজির ভ্যারিয়েন্ট বেস মডেলের দামের থেকে অনেকটাই বেশি। তাও পেট্রলের খরচ এড়াতে সিএনজিই চাইছেন অনেক ক্রেতা। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের ডেলিভারির আগে উৎপাদনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি কোম্পানি।
মারুতির ৯টি সিএনজি মডেল রয়েছে
মারুতি দেশের সবচেয়ে বড় গাড়ি সংস্থা। তাদের পোর্টফোলিওতেই সবচেয়ে বেশি সিএনজি মডেল। তাদের বাজারে মোট ১৫টি মডেল রয়েছে। তার মধ্যে ৯টি মডেলে সিএনজি কিট মেলে। এর মধ্যে রয়েছে Alto, S-Pro (S-Presso), Celerio (Eeco), Dzire (Dzire), WagonR (Wagon R), Ertiga-সহ অন্যান্য মডেল।
এপ্রিল মাসে মারুতি ১.২০ লক্ষেরও বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে। ২০২২ অর্থবর্ষে সিএনজি গাড়ির বিক্রি আগের বছরের তুলনায় ৪৪% বেড়েছে।