সাধারণ মানুষ দিনকে দিন বেশি করে ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। আজকের জমানায় ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই দিন কাটছে বহু মানুষের। তবে এই আবহে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে সৌর ঝড়ে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক সঙ্গীতা আবদু জ্যোতির গবেষণা পত্রে এই দাবি করা হয়েছে। তিনি এই বিষয়ে মতামত প্রকাশ করে জানান, বিশ্ব বর্তমানে এত বৃহতাকারের সৌর ঝড় মোকাবিলা করতে প্রস্তুত নয়। এই ঝড়ের কারণে সমুদ্রের তলা দিয়ে যেই অপটিক ফাইবার বিছানো রয়েছে তা অফলাইন হয়ে গিয়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েক মাস ধরেই সূর্যের মধ্যে অস্থিরতা নজর করা গিয়েছে। ০২০ সালে সূর্য এর ১১ বছরের নতুন সাইকেল শুরু করে। এই সাইকেল ২০২৫ সালে চরম পর্যায়ে পৌঁছবে। এই অবস্থায় সৌর ঝড়ের চোখ রাঙানি বিশ্বের উপর। বিশ্বের উপর শেষবার বড় আকারের সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল ১৭ বছর আগে। ১৭ বছর আগে যখন পৃথিবী সৌর ঝড় দেখেছিল, তখন প্রযুক্তি এতটাও উন্নত ছিল না। আর আমরাও এতটা প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল ছিলাম না। তবে সময়ের সাথে সাথে আমরা আরও বেশি মোবাইল ও প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি।
সৌর ঝড়ের জেরে স্যাটেলাইট সিগ্নাল বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে জিপিএস এবং মোবাইল সিগ্নালে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এর আগে ১৯৮৯ সালে একটি সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীতে। এর ফলে কানাডাতে প্রায় ৯ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে নয়া সৌর ঝড়ের প্রভাব নিয়ে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা।