সমকামীদের নিয়ে তৈরি ছবি দেখানো বন্ধ হয়েছিল! এবার স্কটিশের গেটের সামনেই হল শো

Scottish church college controversy: সমকামীদের নিয়ে ছবি বলে সিনেমা প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায়। সেই নিয়ে এবার প্রতিবাদ আয়োজিত হয় স্কটিশের গেটে। সেখানেই ছবি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়

ছবি দেখানো বন্ধের জেরে প্রতিবাদে স্কটিশ চার্চের সামনে!

অনুষ্ঠানের দিন সকাল বেলা হঠাৎ করেই প্রদর্শনী বন্ধ করা হয়।  সমকামীদের নিয়ে তৈরি ছবি বলেই কি তা দেখানো যাবে না? তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সে দিন বিনা নোটিসে হঠাৎ বন্ধ করা হয়েছিল ‘গে ইন্ডিয়া ম্যাট্রিমনি’-র প্রদর্শন। প্রথম প্রথম কলেজের ছাত্রছাত্রীদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানতে পারেনি সংবাদ মাধ্যম। সোমবার সে ঘটনার প্রতিবাদেই স্কটিশ চার্চের সামনেই দেখানো হল সেই তথ্যচিত্র। পরিচালকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্কটিশ চার্চের কয়েক জন পড়ুয়াও।

মঙ্গলবার ১১ জুলাই স্কটিশ চার্চ কলেজে দেবলীনা মজুমদারের ছবি ‘গে ইন্ডিয়া ম্যাট্রিমনি’ দেখানোর কথা ছিল। তার পর সে নিয়ে একটি আলোচনায় বসার কথা ছিল পরিচালকের। লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘সাফো ফর ইকুয়ালিটি’-র দুই সদস্য মীনাক্ষী সান্যাল এবং কোয়েল ঘোষের সঙ্গেই আলোচনা হওয়ার কথা। সেই আয়োজনে হাত মিলিয়েছিল স্কটিশ চার্চ কলেজের মনোবিদ্যা বিভাগ এবং ‘দ্য উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট সেল’-এর সঙ্গে ইতিহাস, দর্শন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগও। দুপুর ১.৩০ থেকে এমএল ভৌমিক অডিটোরিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল অনুষ্ঠান। কিন্তু অনুষ্ঠানের দিন সকালেই সুর বদলায় কলেজ। জানানো হয়, অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। অভিযোগ ওঠে, কলেজের কয়েক জন পড়ুয়া সমকামিতা নিয়ে চর্চা উচিত বলে মনে করেননি শিক্ষার প্রাঙ্গণে। তাঁরাই দ্বারস্থ হন চার্চের।

এই দিন চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়া (সিএনআই) থেকে ফোন যায় কলেজে। তার পর বাতিল হয় অনুষ্ঠান। কলেজ অবশ্য সে অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। বরং কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ‘বাতিল’ নয়, স্থগিত রাখা হয়েছে ছবির প্রদর্শন। গত এক সপ্তাহের মধ্যে স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং সিএনআই-এর তরফে এ সম্পর্কে আর কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এতেই অস্বস্তি প্রকাশ পেয়েছে কলেজের পড়ুয়াদের একাংশের মধ্যে। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এই ঘটনার পরেই পড়ুয়াদের একাংশ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সই সংগ্রহ শুরু করে। এরই মধ্যে স্কটিশ চার্চের সামনে ‘গে ইন্ডিয়া ম্যাট্রিমনি’ প্রদর্শনের ডাক দেয় লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করা ‘ফেমিনিস্ট ইন রেজ়িস্ট্যান্স’ নামক এক সংগঠন। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে সোমবার বিকেলে জড়ো হয়েছেন মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যেরা। এই দিন পরিচালকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন বেশ কয়েক জন পড়ুয়াও। সোমবার সন্ধ্যায় স্কটিশ চার্চ কলেজের গেটের পাশেই সকলে মিলে দেখেন ‘গে ইন্ডিয়া ম্যাট্রিমনি’।