গোটা দেশ জুড়ে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। রাজনৈতিক দলগুলি একেবারে জোরকদমে ময়দানে নেমে পড়েছে। তার মাঝেই বিষ্ণুপুরের সভা থেকে মমতা বললেন, আমি প্রায় দেড় মাস ধরে বাড়ির বাইরে। বলতে গেলে কথা বলার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলছি চিৎকার করতে করতে। বললেন মমতা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, একের পর এক সভা মমতার। প্রখর রোদে মিছিলেও হাঁটছেন। টানা বক্তব্য রাখছেন। সেই উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু হয়েছে। তারপর একের পর এক মিটিং। ফুরসত নেই। টানা বক্তব্য রাখছেন। বিজেপি, বাম কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ। কার্যত ভোট যত এগোচ্ছে ঘটনাক্রমও ততই বাড়ছে। রোজ একাধিক সভা। মঞ্চের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত ছুটছেন তিনি। তার মাঝেই বললেন, আমি প্রায় দেড় মাস ধরে বাড়ির বাইরে। বলতে গেলে কথা বলার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলছি চিৎকার করতে করতে।
তবে মঙ্গলবার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা নিয়ে খুশি তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে সেই খুশির কথা জানিয়েছেন তিনি।
মমতা এদিন জানিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশি এবং মানসিকভাবে তৃপ্ত। সমগ্র শিক্ষক সমাজকে জানাই আমার অভিনন্দন এবং মাননীয় সুপ্রিম কোর্টকে জানাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা।’
আসলে তিনি যেমন মঞ্চ থেকে একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছেন বিজেপিকে নিশানা করে, তেমনি বিজেপিও একের পর এক ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করছে। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালি ইস্যুতে অস্বস্তিতে পড়েছিল দল। অন্য়দিকে চাকরি বাতিল ইস্যুতেও বেকায়দায় পড়ে তৃণমূল। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটের তৃতীয় দফায় এই দুটি ইস্যুতেই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল।
তবে ভোটের এখনও কয়েক দফা বাকি। সেক্ষেত্রে নতুন কোনও ইস্যু সামনে আসে নাকি সেটাও দেখার। বিষ্ণুপুরের সভা থেকে মমতা বলেন, সন্দেশখালি দেখেছেন তো। টাকা দিয়ে কীভাবে মেয়েদের আত্মসম্মান বিক্রি করে দিয়েছিল। এরা পারে না এমন কোনও কাজ নেই। রাতের বেলা লুকিয়ে লুকিয়ে আরএসএসএর লোকেরা আর দু একজন বিজেপির মহিলা সাথীকেও নিচ্ছে। তাদের নিয়ে ভোটের আগে বাড়িতে বাড়িতে টাকা বিলি করছে ভোটের জন্য। আমি পরিষ্কার বলব আপনাদের টাকা দিতে এলে বলবেন আগে ১৫ লাখ টাকা করে দাও তারপর আমি তোমার দু তিন হাজার টাকা নেব।