ভাইপো যে বিজেপি-শিবসেনা জোটের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন, তা নাকি আগেভাগেই জানতেন শরদ পাওয়ার। এমনই দাবি করলেন প্রফুল্ল প্যাটেল। যে নেতাকে সদ্য ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। প্রফুল্লের দাবি, এনসিপির অনেক বিধায়ক এবং দলীয় কর্মীদের একাংশ যে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোটে সামিল হতে চাইছিলেন, তা নিয়ে কোনওরকম লুকোছাপা করা হয়নি। বরং পুরো বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। যে বিষয়টি অজানা ছিল না খোদ সিনিয়র পাওয়ারেরও।
সোমবার ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-র ন্যাশনাল পলিটিক্যাল এডিটর সুনেত্রা চৌধুরীকে একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রফুল্ল বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) যা হয়েছে, সেটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভাবনাচিন্তা চলছিল। এরকম জোটের পক্ষে সওয়াল করে আসছিলেন দলের বড় সংখ্যক কর্মী এবং বিধায়করা। এটার বিষয়ে মিস্টার পাওয়ারও জানতেন। দলের উপযুক্ত জায়গায় বিষয়টি কথাও বলেছিলেন লোকজন। তাই পুরো বিষয়ে যে সকলে চমকে গিয়েছেন, এমন নয়। বাস্তবটা হল যে দীর্ঘদিন ধরেই সেই বিষয়টি পুঞ্জীভূত হচ্ছিল। এটা দলের একটি অংশের সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখানো হচ্ছে। যেখানে এটি পুরোপুরি দলগত সিদ্ধান্ত ছিল।’
এমনিতে রবিবার কাকা শরদকে ঘোল খাইয়ে বিজেপি-শিবসেনা জোটে যোগ দিয়েছেন অজিত। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। পরে প্রফুল্লের পাশে বসে শরদের ভাইপো দাবি করেন, তাঁদের হাতে এনসিপির অধিকাংশ বিধায়কের সমর্থন আছে। তাঁরা এনসিপির প্রতীকেই লড়বেন। কয়েকজন বিধায়কের রাজ্যের মন্ত্রিসভাতেও ঠাঁই হয়েছে। তবে আপাতত প্রফুল্লকে কোনও ‘পুরস্কার’ দেওয়া হয়নি। একাধিক মহলের অবশ্য জল্পনা, আগামী বছর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে চলতি মাসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একাধিক রদবদল করবেন নরেন্দ্র মোদী। তাতে প্রফুল্লকে ‘পুরস্কার’ দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা চলছে।
সেই বিষয়ে 'হিন্দুস্তান টাইমস'-কে প্রফুল্ল বলেন, ‘এরকম কোনও আলোচনা হয়নি। সেরকম যে কিছু হত পারে, সেটা বিশ্বাস করার মতো কোনও কারণ নেই আমার কাছে। এইসব বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে অমিত ভাইয়ের (কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ) ফোনে কথা হয়েছে। কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দেবেন্দ্র ফড়ণবীস যথেষ্ট দক্ষ একজন ব্যক্তি। তবে হ্যাঁ, অমিত শাহের সঙ্গে চূড়ান্ত একবার আলোচনা হয়েছে।’