২০ জুলাই দেবশয়নী একাদশী। চলতি বছর দেবশয়নী একাদশিতে দুটি শুভ যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এদিন থেকে চতুর্মাস শুরু হবে। এ সময় মঙ্গল অনুষ্ঠান করা নিষিদ্ধ। মনে করা হয় দেবশয়নী একাদশী ব্রত অন্য সমস্ত ব্রতর মধ্যে উত্তম। এই একাদশী উপবাস করলে সমস্ত পাপ নষ্ট হয়। আবার যে ব্যক্তি এই একাদশীর উপবাস করেন না, তিনি নরকে যান বলে প্রচলিত আছে। এই ব্রতর প্রভাবে বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করা যায়।
দেবশয়নী একাদশীর শুভক্ষণ
একাদশী তিথি শুরু- ১৯ জুলাই রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে
একাদশী তিথি সমাপ্ত- ২০ জুলাই সন্ধে ৭টা ১৭ মিনিটে
একাদশী ব্রত পারণ- ২১ জুলাই সকাল ৫টা ৩৬ মিনিট থেকে ৮টা ২১ মিনিট পর্যন্ত
এই শুভ সংযোগে পালিত হবে একাদশী ব্রত
চলতি বছর দেবশয়নী একাদশীর দিনে শুক্ল ও ব্রহ্ম যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই যোগকে শুভ যোগ হিসেবে গণ্য করা হয়। এ সময় যে কোনও কাজে সাফল্য অর্জন করা যায়। আবার এই যোগে কোনও কাজ করলে মান-সম্মান লাভ করা যায়।
একাদশী ব্রতর নিয়ম
- একাদশীর দিনে সকালে উঠে সংকল্প করে শুদ্ধ জলে স্নান করুন।
- বিধি অনুযায়ী বিষ্ণুর পুজো করে রাতে দীপদান করুন।
- একাদশীর রাতে বিষ্ণুর ভজন-কীর্তন করা উচিত।
- বিষ্ণুর সহস্ত্রনাম পাঠ করা শুভ।
- উপবাস পুরো হওয়ার পর বিষ্ণুর কাজ থেকে অযাচিত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিন।
- পরের দিন, অর্থাৎ দ্বাদশী তিথিতে কৃষ্ণের পুজো করে ব্রাহ্মণদের ভোজন করান।
- ক্ষমতা অনুযায়ী ব্রাহ্মণদের দান দিন।
একাদশী ব্রতর ধর্মীয় মাহাত্ম্য
বামন অবতার ধারণ করে বিষ্ণু অসুররাজ বলির কাছ থেকে তিন পা সমান ভূমি দাবি করেন। তার পর দুই পা দিয়ে পৃথিবী ও স্বর্গকে মেপে নেন বিষ্ণু, তৃতীয় পদক্ষেপ করার সময় বলি নিজের মাথা এগিয়ে আনেন। বলির প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে পাতাল লোক দান করেন বিষ্ণু এবং বর চাইতে বলেন। তখন রাজা বলি বলেন, ‘প্রভু আপনি সমস্ত দেবী-দেবতার সঙ্গে আমার লোক পাতালে বাস করুন।’ এর পর সমস্ত দেবী-দেবতার সঙ্গে পাতাল লোকে চলে যান। সেই দিনটি ছিল একাদশী।