এ বছর বট সাবিত্রী ব্রত পড়েছে ৩০ মে রবিবার | ওই একই দিনে এবার শনিজয়ন্তীও পড়েছে। বট সাবিত্রী ব্রত মহিলারা নিজেদের স্বামীর দীর্ঘায়ুর জন্য করেন। এই দিন বটবৃক্ষের পুজো করা হয়। সকালবেলায় মহিলারা নতুন বস্ত্র পরিধান করে শৃঙ্গার করে বটবৃক্ষের পরিক্রমা করে ৷ এরপর বটবৃক্ষের চারিদিকে হলুদ সুতো জড়িয়ে ব্রত কথা শুনতে বসে ৷
এই দিন ভেজানো ছোলা খাওয়ার একটা পরম্পরা আছে ৷ বলা হয় যে, এই দিন ১১টি ভিজে ছোলা খেতে হয় এবং সেটা খেয়েই ব্রত সমাপন করা হয় ৷
এই দিনটির বিশেষত্ব আছে ৷ কোনও কোনও জায়গায় এই দিন শাশুড়িদের উপহার দেওয়ার পরম্পরা আছে ৷ বলা হয়ে থাকে যে, এই দিন শাশুড়িদের ফল, কাপড় ইত্যাদি দান করা ছাড়াও নিজের চেয়ে বড় কাউকে কোনও কিছু দান করা হয়। হাতপাখা, খরবুজ এবং আমের দান করা হয় ৷
এই ব্রততে বটবৃক্ষের পুজো করার পিছনে বিশেষ মান্যতা রয়েছে। বলা হয় যে এই দিন সাবিত্রী নিজের পতির জন্য বটবৃক্ষের নিচে তপ করে তাঁর স্বামীকে যমরাজের হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন। যমরাজ তাঁর স্বামীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ৷ এই জন্য মহিলারা প্রতি বছর বটবৃক্ষের পুজো করেন। এই ব্রত করলে মহিলাদের অখন্ড সৌভাগ্য প্রাপ্তি এবং সন্তান প্রাপ্তি ঘটে।