ভাই এবং বোনের অটুট সম্পর্ক একটি উত্সব হিসাবে পালিত হয়। এর জন্য বছরে দুটি বিশেষ অনুষ্ঠান রয়েছে। রাখী বন্ধন ছাড়াও তাই ভাইফোঁটার দিনটি উৎসবের মতো পালন করা হয়। রাখী বন্ধনের মতো এই উৎসবও প্রত্যেক ভাই-বোনের জন্য বিশেষ। এই উৎসব ভাই দুজ, ভাই টিকা, যম দ্বিতীয়া নামেও পরিচিত।
দীপাবলির দ্বিতীয় দিনে ভাইফোঁটা পালিত হয়। তিথির কাকতালীয় কারণে এ বছর ভাইফোঁটা দু’দিন পালিত হচ্ছে। ভাইফোঁটা ২৬ অক্টোবর এবং ২৭ অক্টোবর পালিত হচ্ছে। বোনেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ভাই ফোটার জন্য। এই দিনে বোনেরা তাদের ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে পূজা করে, তার মঙ্গল কামনা করে এবং তিলক করে। কথিত আছে, ভাই ফোটার দিন তিলক লাগালে ভাই দীর্ঘায়ুর পাশাপাশি সুখ-সমৃদ্ধির আশীর্বাদও পায়।
ভাইফোঁটা উপলক্ষে সব বোনেরা ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে এবং কপালে তিলক লাগিয়ে তার মুখ মিষ্টি করে। ভাইরা বোনদের উপহার দেয় এবং তাদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেয়। ভাইফোঁটা উপলক্ষে, প্রত্যেক ভাই-বোনের উচিত একে অপরকে এই বিশেষ উৎসবের শুভেচ্ছা জানানো। এখানে ভাইফোঁটার কিছু আকর্ষণীয় বার্তা রয়েছে, যেগুলো পাঠিয়ে আপনি আপনার ভাই বা দাদাকে ভাইফোটার শুভেচ্ছা পাঠাতে পারেন।
১।
ভাইফোঁটার শুভক্ষণে
দিলাম ফোঁটা তোকে অনেক যতনে।
ভাইবোনের এই মধুর বন্ধন
অটুট থাকুক সারাজীবন।
শুভ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া
২।
আজ হল ভাইফোঁটা
বরণ ডালা সাজাব মোরা
ভাইয়ের কপালে পরিয়ে ফোঁটা
যমের দুয়ারে দেব কাঁটা।
ভাই আমার মনের মতো
থাকিস তুই অক্ষত।
শুভ ভাইফোঁটা
৩।
ভাইবোনের এই মধুর বন্ধন
অটুট থাকুক সারাজীবন।
শুভ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া
৪।
প্রাণ খুলে দীর্ঘায়ু,
কামনা আজকের দিনে,
তুই চির সুখী থাকিস
এই বিশ্বভুবনে।
শুভ ভাইফোঁটা
৫।
যদি ফোঁটা হতো বছরে প্রতিদিন
জমতো আড্ডা খুশিতে চিরদিন,
পাওনা গণ্ডার মিষ্টি ঝগড়ায়
জীবন হতো রঙ্গীন।
শুভ ভাইফোঁটা