রাহু-কেতু থেকে কোনও গ্রহ বিচ্ছিন্ন হলে কালসর্পের অশুভ প্রভাব কমে যায়। কালসর্প যোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভগবান শিবের উপাসনা করা সর্বোত্তম এবং পরীক্ষিত উপায়। এর জন্য প্রতিদিন শিব মন্দিরে যান এবং শিবলিঙ্গের দর্শন করুন এবং নিয়মিত ওম নমঃ শিবায় জপ করুন। এছাড়া প্রতি সোমবার শিব মন্দিরে শিবলিঙ্গে বিল্ব পাতা ও দুধ অর্পণ করুন এবং এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ভগবান শঙ্করের কাছে প্রার্থনা করলে কয়েক মাস পরেই শুভ প্রভাব লাভ করবেন।
যদি কোনও মহিলার জন্ম তালিকায় কালসর্প যোগ থাকে এবং এই কারণে সন্তান জন্মদানে বাধা থাকে, তবে তার প্রতিরোধের জন্য, তাকে নিয়মিত ৭২ দিন ধরে প্রাচীন বট গাছের ২৪ বার প্রদক্ষিণ করা উচিত।
যদি কালসর্প যোগের কারণে পুত্র প্রাপ্তি না হয়, তবে নাগপঞ্চমীর উপবাস পালন করা উচিত। নাগ পঞ্চমীর উপবাস পালনের জন্য, গমের সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে একটি পাঁচ মাথাওয়ালা সাপ তৈরি করুন এবং শুক্লা পঞ্চমীর দিন ঘট স্থাপন করুন। একটানা এক বছর ভক্তি সহকারে উপবাস রাখুন এবং পুত্র কামনা করুন।
একটি কালো কাপড়ে বা রুমালে এক মুঠো আস্ত মুগ বা আস্ত মাস কলাই এর ডাল রেখে রাহুর 'ওম রাহবে নমঃ' মন্ত্র উচ্চারণ করে ভিক্ষুককে দিয়ে দিন অথবা কুয়ো, নদী, পুকুরে রেখে দিন। এটি কমপক্ষে ৭২ বুধবার পর্যন্ত করা উচিত।
প্রতি সংক্রান্তিতে গঙ্গাজলে গোমূত্র মিশিয়ে বাড়ির সমস্ত ঘরে ছিটিয়ে দিন।
রান্নাঘরে বসে খাবার খান এবং বুধবার তাজা মুলা দান করুন।
যদি কাল সর্প যোগের কারণে বিবাহিত জীবনে অসুবিধা হয়, তবে স্ত্রীর সাথে পুনরায় বিবাহ করুন এবং দুটি সর্পের জোড়ার মাঝখানে বাড়ির প্রধান দরজায় একটি রুপোর স্বস্তিক রাখুন।
১৮টি তিসির বীজ নিন, এটি গোমূত্রে ভিজিয়ে রাখুন এবং আপনার মাথার কাছে রেখে ঘুমান।
সোনার ৭ রতি, রৌপ্য ১২ রতি এবং তামা ১৬ রতি মিশিয়ে অনামিকাতে একটি সাপের আংটি পরুন। যেদিন আংটি পরবেন সেদিন রাহু প্রভাবিত কিছু বস্তুও দান করতে হবে।
সূর্যোদয়ের সময় দরিদ্র হরিজনদের মসুর ডাল এবং কিছু টাকা দান করুন।
একটানা ৪৩ দিন ধরে চলমান জলে একটি নারকেল এবং একটি মুদ্রা প্রবাহিত করুন।
( উপরোক্ত তথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক৷ এব্যাপারে বিশদ জানতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।