চৈত্র নবরাত্রি ২২ মার্চ থেকে শুরু হবে। একই সময়ে, এটি ৩০ মার্চ রাম নবমীর দিনে শেষ হবে। নবরাত্রিতে দেবী দুর্গার নয়টি রূপের পুজো করা হয়। নবরাত্রির প্রথম দিনে ঘট স্থাপন করে মা অম্বের পুজো করা হয়। নবরাত্রির নয় দিনে অনেক জায়গায় মেলাও হয়। অষ্টমী ও নবমীতে কন্যাভোজনের আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে নবরাত্রির সময় বাস্তুশাস্ত্রের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।
চৈত্র নবরাত্রিতে দেবীর মূর্তি ও ঘট উত্তর-পূর্ব দিকে স্থাপন করতে হবে। এই দিকে দেব-দেবীর অধিবাস। অখন্ড জ্যোতি দক্ষিণ-পূর্ব কোণে স্থাপন করতে হবে।
নবরাত্রিতে বাড়ির প্রধান দরজায় স্বস্তিক আঁকতে হবে। এটি ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখে। সেই সঙ্গে ঘরের প্রধান ফটক সাজাতে হবে আম পাতা দিয়ে।
চৌকিতে মায়ের মূর্তি রাখুন।
কোনও শুভ সময়ে কালো রং ব্যবহার করা উচিত নয়। নবরাত্রির ৯ দিন গাঢ় রঙের পোশাক পরবেন না। কালো রঙ নেতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে।
নবরাত্রির সময় হলুদ ও লাল রঙের পোশাক পরা উচিত। হলুদ রঙ জীবনে উদ্দীপনা, উজ্জ্বলতা এবং আনন্দ নিয়ে আসে। অন্যদিকে লাল রঙ জীবনে উদ্দীপনা নিয়ে আসে। মাকেও এই দুটি রং দিয়ে সাজাতে হবে।
নবরাত্রিতে কর্পূর জ্বালিয়ে দেবী মায়ের আরতি করতে হবে। এতে ঘরের নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ঘরে ঘরে আগমন করেন দেবী লক্ষ্মী।