চলতি বছর ২৭ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী। বজরংবলীর পুজো করলে ভয়, সংকট, শত্রু বাধা দূর হয়, আবার ব্যবসা এবং আর্থিক সমস্যাও দূর হয়। এদিন মন্দিরে বিশেষ পুজো করা হয় এবং বজরংবলীকে ভোগ দেওয়া হয়। বজরংবলীকে লাল কাপড়, সিঁদূর অর্পণ করা অত্যন্ত শুভ। এ ছাড়াও বিশেষ কিছু উপায় আছে, যা হনুমান জয়ন্তীর দিনে করলে ব্যক্তির আর্থিক সমস্যা এবং শত্রু বাধা দূর হয়।
অর্থ লাভের উপায়
হনুমান জয়ন্তীর দিনে সকালে তাড়াতাড়ি উঠে স্নান করে লাল ও হলুদ রঙের কাপড় পরিধান করুন। এর পর বজরংবলীর মন্দিরে গিয়ে প্রতিমার সামনে চামেলির তেলের প্রদীপ জ্বালুন। কোনও পাত্রে চামেলির তেলে সিঁদূর মিশিয়ে নিন এবং হনুমানকে সিঁদূরের কাপড় অর্পণ করুন। গোলাপ ফুলের মালা পরিয়ে তাঁর দুই বাহুতে কেওড়ার আতর ছেটান। এর পর গোটা পান পাতায় ছোলা ও গুড় রেখে বজরংবলীকে নৈবেদ্য নিবেদন করুন। ধন প্রাপ্তি ও আর্থিক পরিস্থিতি উন্নতির জন্য এটি কার্যকরী উপায়।
আর্থিক সংকট থেকে মুক্তির উপায়
বার বার আর্থিক লোকসানের মুখে পড়লে অশ্বত্থ পাতাকে গঙ্গাজলে শুদ্ধ করে বজরংবলীর চরণে রেখে দিন। এর পর মনে মনে প্রার্থনা করে পাতায় জাফরান দিয়ে শ্রী রাম লিখুন। শুকিয়ে গেলে সেই পাতাকে নিজের পার্সে রেখে দিন। মনে করা হয়, এই উপায়ে পার্স সবসময় টাকায় ভরে থাকবে। তবে নিজের পার্সকে কখনও নোংরা হাতে ছোবেন না।
আর্থিক লাভের জন্য
হনুমান জয়ন্তীর দিনে অশ্বত্থ গাছের তলায় তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রণাম করুন। এর পর বাড়ি চলে আসুন। সে সময় পিছনে ফিরে তাকাবেন না। এর পর হনুমান জয়ন্তীর দিন থেকে শুরু করে সাতটি মঙ্গলবার ‘জয় জয় জয় হনুমান গোঁসাই, কৃপা করো গুরু দেব কী নাঁই’—মন্ত্রটি জপ করুন। এই উপায় গোপন রাখা উচিত। এর ফলে আশ্চর্যজনক ধন লাভ হবে। এমনকি বজরংবলী আপনাকে সমস্ত সংকট থেকে রক্ষা করবেন।
শত্রু থেকে রক্ষার জন্য
সব সময় অজানা ভয় গ্রাস করলে অথবা শত্রুদের কারণে চিন্তিত থাকলে বজরংবলীর সামনে ১০৮ বার হনুমাল চালিসা ও ১০৮ বার সংকটমোচন পাঠ করুন। ৯টার পর এবং ১২টার আগে এই কাজ করা উচিত। এই উপায় একা করতে না পারলে পরিজনদের সঙ্গে বসে পাঠ সম্পূর্ণ করুন। এই পাঠের ফলে প্রসন্ন হয়ে হনুমান ব্যক্তিকে সংকট মুক্ত করেন এবং শত্রু ভয় দূর করেন।