বাবা খাটূু শ্যামের প্রতি ভক্তদের মধ্যে রয়েছে গভীর বিশ্বাস। তিনিই কলিযুগের অন্যতম পুজিত ঈশ্বর, যাঁর মহিমা অতুলনীয়। রাজস্থানে বাবা খাটূু শ্যামের একটি বিশাল এবং বিখ্যাত মন্দির রয়েছে। জেনে নিন বাবা খাটু শ্যামের মহিমা।
প্রতি বছর কার্তিম মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে ভগবান খাটূু শ্যামের জন্মদিন পালন করা হয়। খাটূু শ্যাম এর জন্মদিনে বিশেষ পুজো করা হয়, নৈবেদ্য দেওয়া হয় এবং তাকে ফুল দিয়ে সজ্জিত করা হয়। এদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে বাবা খাটূু শ্যামের দর্শন পেতে।
খাটূু শ্যাম ছিলেন বারবারিক, যিনি আজ খাটূু শ্যাম নামে পরিচিত। তিনি মহাভারতের যুগের সঙ্গে সম্পর্কিত। বারবারিক খুব শক্তিশালী ছিল। এতটাই যে মহাভারতের যুদ্ধও তার একটি তীর দিয়ে শেষ হয়ে যেতে পারে। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তাঁর শক্তি ও প্রতিভায় অত্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন এবং কৃষ্ণের কাছ থেকেই তিনি কলিযুগে পুজিত হওয়ার বর পেয়েছিলেন। চলুন জেনে নিই বারবারিকের খাটু শ্যাম হয়ে পুজিত হওয়ার কাহিনি।
যেভাবে বর্বরিক হলেন প্রভু খাটূু শ্যাম: বারবারিক ঘটোৎকচের পুত্র এবং তিনি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিলেন। তিনি দেবী দুর্গার একজন মহান ভক্ত ছিলেন এবং দেবীর কাছ থেকে ৩ টি ঐশ্বরিক তীর পেয়েছিলেন। মহাভারতের যুদ্ধের সময়, বারবারিক প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে এই যুদ্ধে যেই পরাজিত হবে সে তার পক্ষে যুদ্ধ করবে। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ ভালো করেই জানতেন যে বারবারিক যুদ্ধক্ষেত্রে এলে পাণ্ডবদের পরাজয় নিশ্চিত।
এমতাবস্থায় শ্রীকৃষ্ণ ব্রাহ্মণের রূপ ধারণ করে বারবারিককে থামানোর চেষ্টা করেন। ব্রাহ্মণের রূপ ধারণ করে কৃষ্ণ বারবারিক এর মস্তক উপহার হিসেবে চাইলেন। তিনি এমন দান চাইতেই বারবারিক বুঝতে পারলেন যে তিনি সাধারণ ব্রাহ্মণ নন। বারবারিক তাকে তার আসল রূপে আসতে বললেন। এরপর শ্রীকৃষ্ণ বারবারিকের কাছে দেখা দিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে বারবারিক খুশি হয়ে তার মস্তক দান করলেন। শ্রীকৃষ্ণ বারবারিকের ভক্তি ও ত্যাগে অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে বর দিলেন যে, কলিযুগে তুমি শ্যাম নামে পুজিত হবে। যারা তোমার পুজো অর্চনা করবে তাদের সকল ইচ্ছা পূরণ হবে।