হিন্দু ধর্ম এবং পূজাবিধিতে বিভিন্ন ফুলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কিছু কিছু ফুল আছে যা দেবতাদের বিশেষ প্রিয়। দেবতাদের প্রিয় ফুল দিয়ে পুজো করলে, তাঁরা খুশি হন এবং মনষ্কামনা পূর্ণ করেন, এমনই প্রচলিত বিশ্বাস। তবে চিনে নিতে হবে কোন ফুল কোন দেবতাকে অর্পণ করা উচিত।
1/15 ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পুজো, আরতি ইত্যাদি কাজ ফুল ছাড়া অসম্পূর্ণ গণ্য করা হয়।
2/15 গণেশ: আচারভূষণ গ্রন্থ অনুযায়ী তুলসী ছাড়া সমস্ত ফুল দিয়ে গণেশের পুজো করা যেতে পারে। পদ্মপুরাণ আচার রত্নেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। দূর্বা ঘাস গনেশের অত্যন্ত প্রিয়। দূর্বা দিয়ে পুজো করলে গণেশ সন্তুষ্ট হন। এর ওপরের দিকে ৩ বা ৫টি পাতা থাকলে উত্তম।
3/15 শিব: ধুতুরা ফুল, নাগকেশরের সাদা পুষ্প, শুষ্ক কমল বীজ, আকন্দ ফল ইত্যাদি ফুল শিবের প্রিয়। বেলপাতা ছাড়া শিব আরাধনা অসম্পূর্ণ মনে করা হয়। তবে কেওড়া পুষ্প মহাদেবকে অর্পণ করা উচিত নয়।
4/15 বিষ্ণু: পদ্ম, জুঁই, কদম্ব, কেওড়া, চামেলি, অশোক, মালতী, বাসন্তী, চাঁপা, বৈজয়ন্তী ফুল বিষ্ণুর অত্যধিক প্রিয়। তুলসী অর্পণ করলে বিষ্ণু অতিশীঘ্র সন্তুষ্ট হন। কার্তিক মাসে কেতকী ফুল দিয়ে নারায়ণ পুজো করলে, তাঁকে বিশেষ ভাবে সন্তুষ্ট করা যায়। কিন্তু আকন্দ, ধুতুরা, শিরীষ, শিমূল ইত্যাদি ফুল ভুলেও অর্পণ করবেন না।
6/15 শ্রীকৃষ্ণ: মহাভারতে যুধিষ্ঠিরের সামনে নিজের প্রিয় ফুলের উল্লেখ করেন কৃষ্ণ। তিনি জানিয়েছেন, কুমুদ, করবী, চণক, মালতী, পলাশ ও বনমালা ফুল তাঁর বড়ই প্রিয়।
9/15 বজরংবলী: লাল ফুল তাঁর একান্তই প্রিয়। তাই লাল গোলাপ, লাল গাঁদা ফুল, এমনকি লাল জবা দিয়ে বজরংবলীকে সন্তুষ্ট করা যায়। তুলসী পাতা বজরংবলীর পুজোয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
11/15 দুর্গা: রামায়ণী উপাখ্যানে রয়েছে, শ্রীরামচন্দ্র দেবীকে তুষ্ট করতে নীলকমল অর্পণ করেছিলেন। দুর্লভ এই ভুল সংগ্রহ প্রায় অসম্ভব। অভাবে লাল গোলাপ অথবা লাল জবা অর্পণ করলে ইচ্ছা পূরণ হয়।
15/15 হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মহাদেবের প্রিয় বিল্বপত্র বা বেলপাতা ছয় মাস পর্যন্ত বাসি হয় না। তাই, এর ওপর জল ছিটিয়ে আবার শিবলিঙ্গে অর্পণ করা যেতে পারে।