মা জগদ্ধাত্রীর আরাধনা বাংলায় সব থেকে বেশি পশ্চিমবঙ্গে৷ নদীয়ার কৃষ্ণনগর এবং হুগলি জেলার চন্দননগরে এই উৎসব এক অন্যরূপ নেয় ৷ মা জগদ্ধাত্রীর বাহন হল সিংহ৷
ত্রিনয়নী দেবী জগদ্ধাত্রী চতুর্ভুজা পূজা ৷এবার ৩০ শে অক্টোবর জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠী অর্থাৎ রবিবার ৷ পরের দিন ৩১ অক্টোবর সোমবার সপ্তমী । মঙ্গলবার ১ নভেম্বর অষ্টমী, ২ নভেম্বর বুধবার নবমী তিথি। ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দশমী তিথি ৷ চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মূলত আলোক সজ্জার জন্য বিখ্যাত ৷কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী পূজা গুলির মধ্যে অন্যতম হলো বুড়িমার পুজো ৷ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় থেকে প্রথম কৃষ্ণনগরে এই পুজোর সূচনা হয়। কৃষ্ণনগরে অনেক জগদ্ধাত্রী পুজো হয়, কিন্তু তার মধ্যে অন্যতম এই চাষা পাড়ার বুড়িমার পুজো ৷
এই পুজো এইবার ২৫০ বছরে পরলো, তাই এবার পুজো ঘিরে উত্তেজনা প্রবল । শুক্রবার থেকেই এই পূজার সূচনা হয়ে গেল ৷ চাষা পাড়ার বুড়িমার ভুবন মোহিনী রূপ দেখতে বহুদূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন ৷ সোনার অলংকারে সেজে ওঠে বুড়িমা ৷ এ বছর বুড়িমাকে আগের বারের থেকেও বেশি গয়না দিয়ে সাজানোর কথা , যেহেতু এবার আড়াইশো বছর পূর্তি হচ্ছে ৷ প্রতিবছর এত গয়না দিয়ে পুজো দেওয়ার জন্য বুড়িমার পুজোয় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় ৷
বহুদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন বুড়িমার কাছে তাদের মনস্কামনা জানাতে ৷ লোকমুখে প্রচলিত যে বুড়িমা সকলের মনস্কামনা পূর্ণ করেন, তাই কৃষ্ণনগরে চাষা পাড়ার বুড়িমা পুজোর মহত্ত্বই বিশেষ ৷ প্রতিবছরের মতো এবছরও জগদ্ধাত্রী পুজোতে কার্নিভাল করে বুড়িমাকে বিসর্জন দেওয়া হবে, জলঙ্গী নদীতে মায়ের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না ৷এবছর মন্দিরের আদলে মন্ডপ করা হয়েছে ৷