মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে ষটতিলা একাদশী বলা হয়। একাদশী ব্রত বিষ্ণুকে সমর্পিত। ষটতিলা একাদশী দিনে ছয় ধরনের তিল ব্যবহার করা হয়, তাই একে ষটতিলা বলা হয়। এদিন দান, ব্রত ও পুজো করলে বিশেষ পুণ্য লাভ করা যায়। বৈকুণ্ঠ প্রাপ্তি ঘটে।
ষটতিলা একাদশী শুভক্ষণ
২৮ জানুয়ারি ষটতিলা একাদশী ব্রত পালিত হবে। সকাল ৭টা ১১ মিনিট থেকে ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত মোট ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট এই একাদশী পুজোর সর্বাধিক শুভক্ষণ রয়েছে।
ষটতিলা একাদশীর দিন তিল ব্যবহার করার ৬টি পদ্ধতি
১. তিলের জলে স্নান।
২. তিল বেটে এর উবটন লাগান।
৩. তিল দিয়ে বাড়িতে যজ্ঞ করুন।
৪. তিল খান।
৫. তিল মেশানো জল পান করুন।
৬. তিল দান করুন।
এই একাদশীর দিনে এমন করলে সমস্ত পাপ দূর হয়। এর ফলে বিষ্ণু প্রসন্ন হন।
ষটতিলা একাদশী ব্রতকথা
একদা নারদমুনি বিষ্ণু ধাম বৈকুন্ঠে যান। সেখানে তিনি বিষ্ণুকে ষটতিলা একাদশী ব্রতের মাহাত্ম্য জিগ্যেস করেন। নারদের আগ্রহে বিষ্ণু জানান যে, প্রাচীন কালে পৃথিবীতে এক ব্রাহ্মণী থাকত। ভগবৎ সংক্রান্ত উপবাস, ব্রত ও স্বামী সেবার ফলস্বরূপ তিনি বৈকুণ্ঠ লাভ করেন। তিনি আমার অনন্য ভক্ত ছিলেন, শ্রদ্ধা ভরে আমার পুজো করতেন। একবার তিনি এক মাস উপবাস থেকে আমার উপাসনা করেন। এর প্রভাবে তাঁর শরীর শুদ্ধ হয়ে যায়, কিন্তু তিনি কখনও ব্রাহ্মণ ও দেবতাদের উদ্দেশে অন্নদান করতেন না। তখন আমি ভাবলাম এই স্ত্রী বৈকুণ্ঠ থেকেও অতৃপ্ত থেকে যাবে। তাই আমি স্বয়ং একদিন তাঁর কাছে ভিক্ষা চাইতে যাই। ভিক্ষা প্রার্থনা করলে তিনি সাধুরূপী আমাকে মাটির ঢেলা দেন। তাই বৈকুণ্ঠে তিনি একটি সুন্দর মাটির ঘর লাভ করেন। কিন্তু কাউকে এক দানা অন্নও দান না করায় অন্নাদি লাভ করেন না। তখন ওই ব্রাহ্মণী আমার আজ্ঞায় ষটতিলা ব্রত করে। এই উপবাসের পুণ্য প্রভাবে সে সমস্ত কিছু লাভ করে। তাঁর কূটির অন্ন ও অর্থে ভরে যায়।
যায়।