সনাতন ধর্মে অমাবস্যাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বছরে ১২টি অমাবস্যা তিথি থাকে। এঁদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিথি হস শ্রাবণ অমাবস্যা তিথি। একে হরিয়ালী অমাবস্যাও বলা হয়। ৮ অগস্ট, রবিবার এই অমাবস্যা পালিত হবে। অমাবস্যা বিশেষত পিতৃপুরুষদের সমর্পিত। এদিন নিজের পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য ব্রত ও তর্পণ করা হয়ে থাকে। তবে পিতৃপুরুষরা অসন্তুষ্ট থাকলে বা কোষ্ঠিতে পিতৃ দোষ থাকলে এই বিশেষ দিনে কিছু উপায় করা উচিত। পিতৃ দোষ থেকে মুক্তির জন্য শ্রাবণ অমাবস্যার দিনে কী করবেন, জেনে নিন—
১. এদিন বৃক্ষ রোপণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শাস্ত্র মতে, এদিন বৃক্ষরোপণ করলে পিতৃদোষ, গ্রহ দোষ শেষ হয় এবং হয় পুণ্যফল লাভ করা যায়। এই অমাবস্যায় অশ্বত্থ, বট, বেল, নীম, আম, আমলকি ইত্যাদি গাছ লাগানো উচিত।
২. শ্রাবণ অমাবস্যা হওয়ায় এদিন শিবের পুজো বিশেষ ফলদায়ী। এদিন মহাদেবের পুজো করলে এবং আকন্দের সাদা ফুল অর্পণ করলে পিতৃদোষ সমাপ্ত হয়।
৩. হরিয়ালী অমাবস্যার দিনে পবিত্র নদীতে স্নান ও পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে দান করা উচিত। এর ফলে পিতৃপুরুষরা শান্তি লাভ করেন এবং জাতক পিতৃদোষ থেকে মুক্ত হয়।
৪. শ্রাবণ অমাবস্যার সন্ধেবেলায় অশ্বত্থ গাছের পাশে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে গাছের পরিক্রমা করুন। এর প্রভাবে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৫. যে কোনও অমাবস্যায় পিতৃসুক্ত, গরুড় পুরাণ, গীতা, গজেন্দ্র মোক্ষ বা পিতৃ কবচের পাঠ করলে পিতৃপুরুষরা প্রসন্ন হন এবং ব্যক্তি দোষ মুক্ত হয়।
৬. এই অমাবস্যার দিনে পিতৃপুরুষদের জন্য উপবাস করলে এবং দরিদ্র ব্রাহ্মণদের খাবার খাওয়ালে পিতৃপুরুষদের আত্মা তৃপ্তি লাভ করে।
৭. এদিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে পিণ্ডদান ও তর্পের বিধান রয়েছে। এর ফলেও পিতৃদোষ সমাপ্ত হয়।