হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পুজো পালিত হয়। মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতেই সরস্বতী প্রকট হয়েছিলেন। সরস্বতীকে সঙ্গীত, শিল্প, বাণী, বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মনে করা হয়। এদিন বিদ্যারম্ভ করলে জ্ঞান বৃদ্ধি হয়। বসন্ত পঞ্চমীর দিনে অবুঝ মুহূর্ত থাকে। এই দিনটি যে কোনও শুভ কর্ম সম্পন্ন করার জন্য উৎকৃষ্ট। এদিন বিবাহ করাকে অত্যন্ত শুভ। এ ছাড়াও এদিন অন্য যে কোনও নতুন কাজের শুভ সূচনা করা যায়। বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতীর পুজোর সময় বিদ্যার দেবীকে প্রসন্ন করার জন্য একাধিক জিনিস অর্পণ করা হয়। এদিন কী অর্পণ করলে ও কোন কোন কাজ করলে দেবীকে সন্তুষ্ট করে তাঁর আশীর্বাদ লাভ করতে পারবেন জেনে নিন—
১. সরস্বতী পুজোর দিন ঘুম থেকে ওটার পর সবার আগে নিজের হাত দেখা উচিত। কথিত আছে আমাদের হাতে সরস্বতীর বাস। তাই সকালে নিজের হাত দেখলে সরস্বতীর দর্শন করা যায়।
২. সরস্বতী পুজোয় হলুদ রঙের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এদিন হলুদ রঙের বস্ত্র পরে সরস্বতী পুজো করা উচিত।
৩. সকালে উঠে স্নান করে, পুজো স্থানে দেবীর মূর্তি স্থাপন করে তাঁকে হলুদ রঙের বস্ত্র অর্পণ করা হয়।
৪. হলুদ ও সাদা রঙের ফুল দেবীর অত্যন্ত প্রিয়। এ কারণে বসন্ত পঞ্চমীর দিনে এই দুই রঙের ফুল দেবীকে অর্পণ করা উচিত।
৫. শাস্ত্র মতে সরস্বতী বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী। সরস্বতী পুজোর সময় দেবীকে খাতা, বই, কলম অর্পণ করা উচিত। জ্যোতিষ মতে এর ফলে বুধ মজবুত হয়। ব্যক্তির কোষ্ঠিতে বুধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনও দোষ থাকলে তা শীঘ্র দূর হয়।
৬. পুজোয় সরস্বতীকে হলুদ রঙের চন্দন ও হলুদ ভোগ নিবেদন করা উচিত। এর ফলে জ্ঞানের দেবী শীঘ্র প্রসন্ন হন ও বৃহস্পতি মজবুত হয়।
৭. এদিন অসহায় ও দরিদ্রদের শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্যুক্ত সামগ্রী দান করা উচিত।
৮. বইয়ের পুজো করে তাতে ময়ূরপঙ্খ রাখলে ছাত্রদের পড়াশোনায় একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়।
৯. সরস্বতীর আরাধনার পর তাঁর মন্ত্র জপ করলে বিদ্যা ও বুদ্ধি লাভ করা যায়।