মহাশিবরাত্রির দিন ভগবান শিব এবং মা পার্বতীর বিয়ে হয়েছিল। মহাশিবরাত্রি হিন্দু ধর্মে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। ভক্তরা মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেন। বিশ্বাস করা হয় ভোলেনাথ শীঘ্রই খুশি হন। যেখানে ভক্তদের প্রতি দয়া দেখিয়ে তাদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। মেয়ের বিয়েতে দেরি হলে যদি সে কাঙ্খিত জীবনসঙ্গী না পায়, তবে কিছু বিশেষ ব্যবস্থায় কাঙ্খিত ইচ্ছা পূরণ হবে।
মহাশিবরাত্রিতে কাঙ্খিত জীবনসঙ্গী পেতে এই ব্যবস্থাগুলি করুন
যাদের বিয়ে বাধার সম্মুখীন হয় তাদের মহাশিবরাত্রির দিন তাদের হলুদ বস্ত্র পরিধান করা উচিত। গাঁদা ফুলের মালা অর্পণ করে ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর পুজো করতে হবে। তারপর ওম গৌরী শঙ্করায় নমঃ মন্ত্র জপ করুন।
যে মেয়েরা ভালো সঙ্গী চায়। তাদের উচিত মহাশিবরাত্রির দিন সূর্যোদয়ের আগে স্নান করা এবং শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করা। এছাড়াও ওম পার্বতী পতয়ে নমঃ মন্ত্র জপ করুন।
মেয়ে বড় হলে পরিবারের লোকজন বিয়ের জন্য উপযুক্ত ছেলে খুঁজতে থাকে। কিন্তু বাধা এলে সে ক্ষেত্রে মেয়েটিকে মহাশিবরাত্রির দিন খুব ভোরে উঠে স্নান করতে হবে। এরপর মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গে জলাভিষেক করতে হবে । এই প্রতিকার করলে মহাদেব ও দেবী পার্বতী প্রসন্ন হন।
একটা মেয়ে প্রেম বিয়ে করতে চাইলেও তার পরিবার অনেক সময় রাজি থাকে না। তাদের উচিত মহাশিবরাত্রির দিন উপবাস করে মহাদেবের পুজো করা। এতে করে প্রেমের বিয়েতে আসা সমস্যা দূর হবে।