বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী আপনার বাড়িতে রাখা প্রত্যেকটি জিনিস এক একটি প্রতীক হিসেবে কাজ করে। এটি আপনার অবচেতন মনকে প্রভাবিত করে। পজিটিভ চিন্তাভাবনার উৎপত্তি আপনার বাড়িতে উপস্থিত পজিটিভ শক্তির ওপর নির্ভর করে। তাই অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা বাস্তু নিয়ম মেনে হলে অনুকূল ফল পাওয়া যায়।
সমৃদ্ধির প্রবেশ হোক দ্বার দিয়েই:
বাস্তুশাস্ত্রে প্রবেশদ্বারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এখান থেকেই শক্তি প্রবেশ করে। তাই এই স্থান সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। এখানে বেশি জাঁকজমকপূর্ণ ছবি না-লাগিয়ে শুভ প্রতীক চিহ্নের ছবি, যেমন, স্বস্তিক, ওম, ঘট, পবনঘণ্টি, শঙ্খ, জোড়া মাছ বা আশীর্বাদ মুদ্রায় অধিষ্ঠিত গণেশের ছবি লাগানো শুভ ফলদায়ক।
এই কয়েকটি ছবি লাগাবেন না:
বাস্তুশাস্ত্রে জন্তু-জানোয়ারের ছবি কঠোরতা, নির্দয়তা এবং লোভের প্রতীক। তাই অভ্যন্তরীণ সজ্জায় এ ধরনের ছবি লাগাবেন না। এ ছাড়াও এমন কয়েকটি ছবি আছে যা লাগানো অনুচিত, যেমন, যুদ্ধের রক্তরঞ্জিত দৃশ্য, উজাড় ল্যান্ডস্কেপ, শুকিয়ে যাওয়া গাছ এবং এমন যে কোনও দৃশ্য যা দেখে মন অবসাদগ্রস্ত হতে পারে।
এই কয়েকটি জন্তু-জানোয়ারের ছবি লাগানো শুভ:
তবে এমন কিছু জন্তু-জানোয়ার রয়েছে, যার ছবি লাগানো শুভ। যেমন ঘোড়া। ঘোড়া বলিষ্ঠতা, বিস্তার, গতি এবং পৌরুষ-বলের প্রতিনিধিত্ব করে। ঘোড়ার শোপিস অথবা ছবি উত্তর-পশ্চিম দিকে লাগালে কাজে গতি আসে। আবার হাতি ধৈর্যের প্রতীক। বাড়ির উত্তর অথবা দক্ষিণ দিকে হাতির ছবি লাগালে যশ এবং প্রতিপত্তি লাভ হয়। আবার শান্তি এবং প্রাচুর্যের প্রতীক গরুর ছবি বাড়ির পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব কোণে রাখলে দুঃখ এবং চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, ইচ্ছাপূরণ হয়।