শিবের অপর নাম ভোলানাথ। ভক্তের ডাকে শীঘ্র সাড়া দেন তিনি। জলাভিষেকেই প্রসন্ন হন তিনি। শিবের আরাধনার সবচেয়ে বড় ব্রত হল মহাশিবরাত্রি। চলতি বছর ১ মার্চ, মঙ্গলবার মহাশিবরাত্রি পালিত হবে। মহাশিবরাত্রির দিনে বিভিন্ন উপায়ে শিবকে প্রসন্ন করার চেষ্টা করেন সকলে। শিবরাত্রির দিনে নিজের কেরিয়ার অনুযায়ী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সাফল্য ও উন্নতি লাভ করা যায়। উল্লেখ্য, রুদ্রাভিষেক করানোর পরই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত।
রুদ্রাক্ষের মাহাত্ম্য
স্কন্দ পুরাণ, শিব পুরাণ ইত্যাদি গ্রন্থ থেকে জানা গিয়েছে যে শিবের অশ্রু থেকে রুদ্রাক্ষের উৎপত্তি। শিব মহাপুরাণে মোট ১৬ ধরনের রুদ্রাক্ষের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে একমুখী রুদ্রাক্ষ অত্যন্ত দুর্লভ।
নিজের কেরিয়ার হিসেবে কে কোন রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন জেনে নিন—
প্রশাসনিক আধিকারিকদের জন্য রুদ্রাক্ষ
প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাফল্য ও উন্নতির জন্য তেরো মুখী ও একমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। এর প্রভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা আরও বিকশিত হবে এবং কর্মশৈলী বিকশিত হবে।
বিচারপতি ও আইনজীবীদের জন্য রুদ্রাক্ষ
বিচারপতি ও আইনজীবীরা দুই ও চৌদ্দোমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে বিশেষ লাভ অর্জন করবেন। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে শিবভক্তি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি তর্কশক্তি বৃদ্ধি পায়। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করেন ও সমস্ত মনোস্কামনা পূর্ণ হয়।
পুলিস ও সেনা ক্ষেত্রের জাতকদের জন্য রুদ্রাক্ষ
পুলিস ও সেনায় কর্মরত জাতকরা ৯ মুখী এবং চার মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। এর ফলে সাহস বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি তাঁদের শরীরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে কর্মরত জাতকদের জন্য রুদ্রাক্ষ
চিকিৎসক বা চিকিৎসাক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত জাতকদের নয় এবং এগারোমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এগারোমুখী রুদ্রাক্ষ মহাদেবের একাদশ অবতার সঙ্কটমোচন মহাবলী বজরংবলীর প্রতীক। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে মানসিক শক্তি বিকশিত হয়।
রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাতকদের জন্য রুদ্রাক্ষ
নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের এক মুখী ও চৌদ্দো মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। এর প্রভাবে আপনার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে, ভাষণ শৈলী মজবুত হবে। চৌদ্দো মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে শনি-মঙ্গল দোষের প্রভাব থেকেও মুক্তি পাবেন।
ব্যবসায়ীরা ধারণ করুন এই রুদ্রাক্ষ
ব্যবসায়ীদের চৌদ্দো মুখী এবং তেরো মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। তেরো মুখী রুদ্রাক্ষ ব্যক্তিকে কুশল ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তোলে। জাতক উন্নতির পথে চলতে থাকে। তেরো মুখী রুদ্রাক্ষ সন্তান প্রাপ্তিতে সহায়ক।
মনে রাখবেন, কবজি, গলা ও বুকে রুদ্রাক্ষ ধারণ করা যায়। মহাশিবরাত্রি ও শ্রাবণ মাসের সোমবার রুদ্রাক্ষ ধারণ করা শ্রেষ্ঠ। ধারণের পূর্বে এর রুদ্রাভিষেক করাতে ভুলবেন না। আবার শিবলিঙ্গ ও শিব প্রতিমাকে স্পর্শ করিয়েই রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন।