হিন্দু ধর্মে বিজয়া একাদশীর বিশেষ গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীতে বিজয়া একাদশীর উপবাস পালন করা হয়। এবার ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে একাদশী শুরু হচ্ছে।
বিজয়া একাদশীর উপবাস করলে ব্যক্তি সর্বক্ষেত্রে জয়লাভ করে এবং সমস্ত খারাপ কর্মের অবসান হয়। এই উপবাসের মাধ্যমে মানুষ ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করে এবং সাফল্যের দিকে এগিয়ে যায়।
বিজয়া একাদশী ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫.৩২ টা থেকে শুরু এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত ২.৫১ পর্যন্ত চলবে। এমন পরিস্থিতিতে উদয় তিথির ভিত্তিতে, একাদশীর উপবাস হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। বৈষ্ণব সম্প্রদায় শুধুমাত্র ১৭ ফেব্রুয়ারি একাদশী উদযাপন করবে। বিজয়া একাদশী ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ০৮.০১ টা থেকে ০৯.১২ টা পর্যন্ত পালিত হবে।
বিজয়া একাদশীর পুজো পদ্ধতি
ভোরবেলা স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি বা ছবি স্থাপিত করুন এবং তারপর ধূপ, প্রদীপ, ফল, ফুল, তুলসী অর্পণ করুন। এরপর মিষ্টিভোগ নিবেদন করে ঘি এর প্রদীপ জ্বালান। এই দিনে বিষ্ণু সহস্ত্রনাম পাঠ করুন। এর পরে, আরতি করুন এবং পরিবারের সকল সদস্যদের মধ্যে ভোগ বিতরণ করুন। বিজয়া একাদশীর দিন ব্রাহ্মণদের বস্ত্র ও খাদ্য দান করুন।
শাস্ত্র অনুসারে লঙ্কা জয়ের জন্য শ্রীরাম বিজয়া একাদশীর উপবাস করেছিলেন। যা শ্রীরামকে লঙ্কা জয় করতে সাহায্য করেছিল। বিজয়া একাদশীর উপবাস করলে একজন ব্যক্তি শুধু অক্ষয় পুণ্যই পায় না, বিষ্ণুর সঙ্গে মা লক্ষ্মীর পুজো করলেও সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।