তারাপীঠ থেকে দক্ষিণেশ্বর সব জায়গায় ফলহারিনী কালীপুজোর জন্য সাজ সাজ রব। দক্ষিণেশ্বরে মহা সাড়ম্বরে ফলহারিণী কালীপুজোর উদযাপন করা হয়। ১৮ মে বৃহস্পতিবার রাত্তির ৯ টা ১৩ মিনিটে অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে, এই তিথি শেষ হচ্ছে ১৯ মে রাত ৮ টা ৪৩ মিনিটে।
এই তিথিতে দেবীর পুজো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এই বিশেষ তিথিতে মায়ের পুজো সমস্ত অশুভ কর্মফল হরণ করে, ভক্তগণ শুভ ফল লাভ করে। মাকে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে পুজো দেওয়া হলেও এই পুজো বিশেষ কারণ এই পুজোতে মাকে ফলের ভোগ দেওয়া হয়। তারাপীঠে এই দিন মাকে ফলের মালার সাজে সাজানো হয়। নিজেদের মনষ্কামনা পূরণ করতে মাকে বিভিন্ন রকম ফল নিবেদন করে ভক্তরা।
রামকৃষ্ণ মঠ ও আশ্রমে এই দিনের আলাদাই তাৎপর্য রয়েছে। স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণের দেবের জীবনে এই দিনটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই দিন তিনি শ্রীমা সারদা দেবীকে ষোড়শী রুপে পুজো করেছিলেন, যা আজও রামকৃষ্ণ মঠ ও আশ্রমে ষোড়শী পুজো নামে পরিচিত। এই পুজো এখানও দক্ষিণেশ্বরে এই দিনে মহা সাড়ম্বরে পালিত হয়।
এই দিন মায়ের সামনে তেলের প্রদীপ জ্বালতে ভুলবেন না। মায়ের পূজো নির্বিঘ্নে স্ম্পন্ন হলে, সমস্ত বাধা-বিপত্তি কেটে যায়। মা কালী একদিকে শক্তির প্রতিমূর্তি অন্যদিকে তিনি জগতের মা, তিনি অপার করুণাময়ী। তার নানা রূপ কোথাও তিনি মহাকালী কোথাও তিনি ভদ্রকালী আবার কোথাও তিনি ফলহারিনি। এই বিশেষ তিথিতে নিজের কোনও প্রিয় ফল মাকে উৎসর্গ করে মানুষ মনস্কামনা করলে অবশ্যই মা সে কামনা পূরণ করেন। কামনা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সেই নিবেদন করা ফলটি গ্রহণ করতে নেই। মনস্কামনা পূরণ হলে ফলটি মাকে নিবেদন করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে হয় তারপর এই ফল আবার গ্রহণ করা যায়। অনেকের বাড়িতেও এই বিশেষ পুণ্য তিথিতে ফল হারিনি কালীপুজোর আয়োজন করা হয়। ফলহারিনি কালী পুজো করলে পূজারির কর্ম ও অর্থভাগ্যে উন্নতি ঘটে।