মাত্র দু-বছরেই কংগ্রেসের প্রতি মোহভঙ্গ শক্রঘ্ন সিনহার! জাতীয় রাজনীতি সরগরম এই প্রবীণ বলিউড তারকা তথা কংগ্রেস নেতার ঘাসফুল শিবিরে যোগদান নিয়ে। জল্পনা শুধু এটাই নয়, শোনা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের তরফে রাজ্যসভার টিকিট পেতে পারেন ‘বিহারী বাবু’। বিজেপি বিরোধী সকলের সঙ্গে গোপনে গাঁটছড়া বাঁধায় চেষ্টায় টিএমসি, সেই সূত্র ধরেই নাকি এবার কংগ্রেস দল ভাঙিয়ে এই প্রবীণ নেতাকে তৃণমূল শিবিরে শামিলের চেষ্টায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চেই কি তবে বড় চমক দিতে চলেছে তৃণমূল? খবর, ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা বেশ কিছুটা এগিয়েছে শক্রুঘ্ন সিনহার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শহিদ দিবসের মঞ্চেই ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেবেন ‘বিহারী বাবু’।
করোনা আবহে গতবছরের মতো এবার ধর্মতলায় সীমিত সংখ্যক কর্মী-সমর্থকের উপস্থিতিতেই পালিত হবে ২১শে জুলাই। এদিন ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এদিন বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতা যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে, সবার উপরে রয়েছে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা বর্তমান কংগ্রেস নেতা শক্রুঘ্ন সিনহার নাম। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শক্রুঘ্ন সিনহা মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন, কিন্তু জানান- ‘রাজনীতিতে সম্ভাবনা একটা কলা, সেটা কোনওদিন উড়িয়ে দেওয়া যায় না’। তৃণমূলের কোনও নেতা প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি নন, তবে পার্টির অন্দরে নাকি এই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন অনেকেই।
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ‘বিহারী বাবু’। দিদিকে 'রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার' বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সেই থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, তবে কি তৃণমূলের দিকে ঝুঁকছেন এই কংগ্রেস নেতা? কংগ্রেসের অন্তর্কহল নিয়ে নাকি বেজায় হতাশ শক্রুঘ্ন, এই দলে নিজের ভবিষ্যত দেখছেন না তিনি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মোদী ম্যাজিককে যেভাবে হেলায় উড়িয়ে দিয়েছে মমতা ঝড় তাতে ব্যাপক প্রভাবিত শক্রুঘ্ন সিনহা। তাই ‘হাত’ ছেড়ে এই বর্ষীয়ান নেতা তথা অভিনেতা মমতার হাত ধরলে খুব বেশি অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।