বেশকিছু জটিলতা ও নির্বাচনের কারণে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ থমকে ছিল। অবশেষে সেই জটিলতা কেটে যাওয়ায় পুজোর আগেই প্রায় ২ হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করল শিক্ষা দফতর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই জেলার চারটি মহকুমায় ১৯১২ জনের হাতে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। পুজোর আগে নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শিক্ষকমহলে খুশির হাওয়া।
আরও পড়ুন: গত বছরের তুলনায় এবার টেটে জমা পড়ল অর্ধেক আবেদন, নেপথ্যে কী কারণ?
যে চারটি মহকুমাতে প্রধান শিক্ষকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল কাঁথি, এগরা, তমলুক ও হলদিয়া। এই চারটি মহকুমাতে মোট ১৯৪১ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কথা। তার মধ্যে ১৯১২ জনের হাতে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধ হল ঘরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রার্থীদের নিয়োগপত্র তুলে দেন। তিনি জানান, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশে আমরা জেলায় ১৯১২ জনের হাতে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগপত্র তুলে দিতে পেরেছি।’
জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে জেলায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। তারপরে জেলা শিক্ষা দফতরের তরফে গত মার্চে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই মতোই প্রধান শিক্ষকের জন্য আবেদন জমা হয়েছিল। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলার কারণে সেই নিয়োগ থমকে গিয়েছিল। চেয়ারম্যান জানান, পুজোর আগেই নিয়োগ করার পরিকল্পনা ছিল। সে মতোই প্যানেল প্রকাশ করা হয়। অবশেষে আজ নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, এদিন দুটো ধাপে নিয়োগ করা হয়। প্রথম ধাপে কাঁথি ও এগরা এবং দ্বিতীয় ধাপে তমলুক এবং হলদিয়ায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের পোস্টিং জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পোস্টিংয়ের বিষয়ে তিনি জানান, বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন এবং স্কুল পরিদর্শকদের মতামত নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া, একটা ৬ সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর যোগ্যতার ভিত্তিতে পোস্টিং দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই জেলায় মোট ২৪২১টি আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু, বিভিন্ন কারণে অনেক আবেদন বাতিল হয়েছিল। তাছাড়া অনেকেই আবেদন তুলে নিয়েছিলেন। এরমধ্যে বৈধ আবেদন ছিল ২৩৭২টি। তবে এই জেলায় শূন্যপদ ছিল ১৯৪১টি এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ৩১টি বাড়বে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই শূন্য পদ পূরণ করা হবে বলে তিনি জানান। জানা গিয়েছে, মূলত যারা টিচার ইনচার্জ দিলেন তাদেরকে সেই সমস্ত জায়গাতেই রাখা হয়েছে এবং যতটা সম্ভব কাছাকাছি নিয়োগ করা হয়েছে।