রাষ্ট্রায়ত্ত কোনও ব্যাঙ্কের নাম নিয়ে ফোন। ওপারে ম্যানেজার সেজে জালিয়াত গ্রাহককে এটিএম কার্ড ব্লক হয়ে যাওয়া বা পুনর্নবীকরণ করানোর ভয় দেখালে এপারে গড়গড় করে গ্রাহক জানিয়ে দিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও এটিএম কার্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিগত সব তথ্য। কয়েক মিনিটে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত অর্থরাশি উধাও। ঝাড়খণ্ডের শহর জামতাড়ার এই প্রতারণা চক্র বিশ্ব–কুখ্যাত। ধীরে ধীরে এর জাল যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে তা বোঝা গেল বৃহস্পতিবার।
দিল্লিতে দায়ের হওয়া এক এমন এক ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে রাজধানীর পুলিশ। বেশ কয়েকদিন তদন্তের পর অভিযুক্ত প্রতারকদের খোঁজ মেলে বীরভূমের রাজনগরে। বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলা পুলিশের সহায়তায় সিউড়ি জেলা সংশোধনাগারের কাছে একটি ব্যাঙ্ক থেকে ওই ২ প্রতারককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। দু’জনেই জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্য। এদিনই তাদের জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরণের ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় গ্রাহকদের থেকে লুঠ করা টাকা প্রথমে অন্য কারও অ্যাকাউন্টে জমা করে দেওয়া হয়। সেই অ্যাকাউন্টের যে মালিক তাকে ১০ শতাংশ কমিশন দিতে হয় জালিয়াতদের। ধৃত ২ জনের মধ্যে একজনের এমনই এক অ্যাকাউন্ট ছিল যেখানে সব হাতানো টাকা জমা হত। আরেকজনের কাজ ছিল ব্যাঙ্কে আসা গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট নম্বর জোগাড় করা।