বৌভাতের অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। টায়ার ফেটে চাষের জমিতে উলটে গেল গাড়ি। তারফলে মৃত্যু হল দু’জনের। এছাড়াও জখম হয়েছেন শিশুসহ ৮ জন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে পূর্বস্থলীর বিশ্বরম্ভার কাছে এসটিকে রোডে। মৃত দুজনের নাম হল কৃষ্ণা দে (৬৭) এবং অনন্যা মজুমদার (৪৪)। আহতদের ভরতি করা হয়েছে কালনা মহকুমা হাসপাতালে। হতাহতরা সকলেই নদিয়ার নবদ্বীপের বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ বাইক-ভ্যানের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছিল, গ্রিন করিডর করেও বাঁচানো গেল না কিশোরকে
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, কাটোয়ার দাঁইহাটের নসিপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে তারা যোগ দিতে গাড়িতে করে সেখানে গিয়েছিলে। অনুষ্ঠান শেষে গভীর রাতে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। গাড়িতে দুজন শিশুসহ মোট ১০ জন ছিল। ফেরার পথে গাড়িটির গতিবেগ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি ছিল বলে দাবি যাত্রীদের। এরপর বিশ্বরম্ভার কাছে আসতেই ঘটে বিপত্তি। আচমকা গাড়ির একটি চাকা ফেটে যা। তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার পাশে চাষের জমিতে উলটে যায়। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণা দে নবদ্বীপের প্রতাপনগরের বাসিন্দা। অন্যদিকে, অনন্যা মজুমদার নবদ্বীপের কপালিপাড়ার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণা দে স্বাস্থ্য দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন। আহতদের সকলকে ভর্তি করা হয়েছে কালনা মহকুমা হাসপাতালে।
কৃষ্ণা দের পরিবারের তরফে ওই গাড়িতে ছিলেন, তাঁর ছেলে কল্লোল দে, নাতি ঋদ্ধিস দে, নাতনি কৌশানী দে, ভাইপোর স্ত্রী সহ পরিবারের অন্যারা। গাড়িতে থাকা যাত্রীদের বক্তব্য, বিশ্বরম্ভার স্কুলের কাছাকাছি এলাকায় একটি কুকুর চলে এসেছিল গাড়ির সামনে। তখন গাড়ির চালক সজোরে ব্রেক কষে গাড়ি থামাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গাড়িটি দ্রুত গতিতে থাকায় রাস্তার সঙ্গে ঘর্ষণে গাড়ির একটি চাকা ফেটে যায়। তারপরেই ঘতে দুর্ঘটনা। দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে দুটি পরিবারে। এভাবে পরিবারের সদস্যরা তাদের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। স্থানীয়দের বক্তব্য, কৃষ্ণা দে স্বাস্থ্য দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী এবং তিনি অনেক মানুষের উপকার করেছেন। এই দুর্ঘটনায় শোকাহত গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দারা।