আসানসোলে ভয়াবহ ঘটনা। শুভেন্দু অধিকারীর মঞ্চ ছেড়ে বের হতেই হুড়োহুড়িতে এক শিশু সহ তিনজনের মৃত্যু। কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু তিনজনের। পুলিশের দাবি, ওই অনুষ্ঠানের জন্য় পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না। সেক্ষেত্রে বিরাট প্রশ্ন উঠে গেল বিরোধী দলনেতার অনুষ্ঠানকে ঘিরে।
এদিকে এই ঘটনায় পাঁচজন জখমও হয়েছে। আসানসোল শহরে ওই অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ বিজেপির তাবড় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রচুর মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন অনুষ্ঠানে। এদিকে একে একে কম্বল বিতরণ শুরু হয়। পরে শুভেন্দু অধিকারী অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যেতেই প্রচন্ড হুড়োহুড়ি পড়ে যায় কম্বল নেওয়ার জন্য। আর তখনই পদপিষ্টের ঘটনা।
সূত্রের খবর, প্রায় ৫ হাজার কম্বল দেওয়ার কথা ছিল এদিন। কিন্তু প্রচুর মানুষ দলে দলে জড়ো হয়ে যান। আর সেখানে মর্মান্তিক পদপিষ্টের ঘটনা। তাতেই এক শিশু সহ তিনজনের মৃত্য়ু।
সূত্রের খবর, আহতদের মধ্য়ে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সরকারি হাসপাতালে ও বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পাঁচটি ক্যাম্প থেকে কম্বল দেওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে কম্বল দেওয়ার কাজ চলছিল। কিন্তু অপরিসর জায়গায় কম্বল দেওয়ার কাজ চলছিল। সেখানেই শুরু হয়ে যায় কম্বল বিতরণের কাজ। শুভেন্দু কয়েকটা কম্বল দিয়েই বেরিয়ে যান। আর তখনই শুরু হয় কম্বল নিতে প্রবল হুড়োহুড়ি।
তবে স্থানীয়দের দাবি, শিবচর্চার ওই অনুষ্ঠানে তাবড় বিজেপি নেতৃত্ব ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। প্রচুর গরিব মানুষ কম্বল নিতে এসেছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতেই প্রচন্ড বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায়। নেতারাও একে একে মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। তখনই বিপর্যয়। প্রশ্ন উঠছে, এর দায় কার?
শাসকদলের দাবি, শুভেন্দু আগাম ১৪ তারিখের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই দিনও এই ভয়াবহ ঘটনা। তবে কি সবটাই আগাম পূর্বপরিকল্পিত?
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,শুভেন্দু বেপরোয়াভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন। শুভেন্দু দায়ী। এই ঘটনায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কেন দায়ী নয় সেটা বলতে হবে। তিনিই তো শুভেন্দুকে বারবার রক্ষাকবচ দিচ্ছেন।