রাতের অন্ধকারে আক্রান্ত হলেন টহলদারি পুলিশকর্মীরা। একদল দুষ্কৃতী পুলিশের উপর বাঁশ, লাঠি, ইট, ডাবের খোলা দিয়ে হামলা চালায়। ঘটনায় আহত হয়েছেন পাঁচজন পুলিশ কর্মী। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। হামলার জেরে পুলিশের গাড়ি কাচ ভেঙে যায়। কে বা কারা হামলা চালালো? সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার হয়নি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।তবে রাতের বেলায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন; গরুচোর সন্দেহে যুবককে আটকে রাখার অভিযোগ, উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ
জানা গিয়েছে, ময়না থানার পুলিশ রাতের অন্ধকারে গাড়িতে করে টহল দিয়ে বেড়াচ্ছিল। সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাদের উপর হামলা চালায়। কী কারণে হামলা বা হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে কী ছিল? সে বিষয়টি এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তা নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। এই ঘটনায় একটি মামলার রুজু করে দুষ্কৃতীদের খোঁজ করা হচ্ছে। আহত পুলিশকর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ধরনের কাজ করেছে, অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির দুষ্কৃতীরা এ হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন এলাকায় ভোটের আগে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে বিজেপি। তারাই পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে রাতের অন্ধকারে টহলদারি বন্ধ করতে চাইছে। তিনি পুলিশকে প্রয়োজনীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এ বিষয়ে তমলুকের এক বিজেপি নেতার দাবি, ময়না গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দ্বারা পরিচালিত। তাই তৃণমূলের লোকজন বাইরে থেকে লোক এনে শান্ত এলাকেকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে চাইছে। তবে মানুষ তৃণমূলের এই চেষ্টা কোনওদিন সফল হতে দেবে না। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রাতের বেলায় টহলদারির সময় গাড়িতে একজন অফিসার সহ মোট পাঁচজন পুলিশ কর্মী ছিলেন। তাদের লক্ষ্য করেই বাঁশ, লাঠি দিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলার পিছনে দুষ্কৃতীদের কী উদ্দেশ্য ছিল? তা এখনও জানা যায়নি। কে বা কারা পুলিশের উপর হামলা চালালো তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।