দেশের বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী হনুমান পোষা আইনত দণ্ডনীয়। কিন্তু, সেই আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একটি বাড়িতে গলায় চেন বেঁধে পোষা হচ্ছিল হনুমান। সেই খবর পেয়ে গলায় বাঁধা অবস্থাতেই হনুমানটিকে উদ্ধার করল বনদফতর। হাওড়ার আমতা ১ নম্বর ব্লকের বালিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের ভালুচক গ্রাম থেকে ওই হনুমানটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। বনদফতরের আধিকারিকরা জানতে পারেন, প্রায় চার মাস ধরে হনুমানটির গলায় চেন দিয়ে বেঁধে বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল। কী কারণে গলায় চেন বেঁধে হনুমানকে আটকে রাখা হয়েছিল? তার কারণ দর্শানোর জন্য বাড়ির মালিককে নোটিশ পাঠিয়েছে বনবিভাগ।
বনদফতরের হাওড়া গ্রামীণ রেঞ্জের অফিসার নির্মল মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘আমরা গোপন সূত্রে খবর পায় ওই গ্রামের একটি বাড়িতে গলায় চেন দিয়ে বেঁধে একটি পূর্ণবয়স্ক হনুমানকে পোষা হচ্ছিল। খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে হানা দিয়ে হনুমানটিকে উদ্ধার করি।’ আপাতত পর্যবেক্ষণের জন্য হনুমানটিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে দিয়েছে বনদফতর। সূত্রের খবর, যেহেতু বাড়ির মালিক আইন লঙ্ঘণ করেছেন সে ক্ষেত্রে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর প্রয়োজনে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যদিও কী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে তা এখনও জানানো হয়নি বনদফতরের তরফে।
বনবিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, হনুমানটি দীর্ঘদিন মানুষের সংস্পর্শে থাকার ফলে তার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন ঘটেছে। সেই কারণে তাকে জঙ্গলে ছাড়ার আগে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং তারপরে ছেড়ে দেওয়া হবে।