পূর্ব বর্ধমানের শিবমন্দিরে আপত্তিকর ঘটনার অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, শিবমন্দিরের চাতালের মধ্যেই একপাশে এক মহিলা শুয়েছিলেন। সচরাচর সেখানেই থাকেন তিনি। একলা অসহায় মহিলা। এদিকে সেখানে হাজির হয়ে এক প্রৌঢ় তাকে জাপটে ধরেন বলে অভিযোগ। তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বর্ধমান শহরের ২ নম্বর শাঁখারিপুকুর এলাকার ঘটনা। এদিকে ওই মহিলা চিৎকার করে উঠতেই ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে ওই মহিলা একাই মন্দিরের একপাশে শুয়েছিলেন। আচমকাই ওই প্রৌঢ় চুপি চুপি তার কাছে চলে আসে। এরপর তার উপর একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ওই মহিলাকে জাপটে ধরা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এর জেরে চিৎকার করে ওঠেন ওই মহিলা। এরপরই এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে যান। ওই মহিলাকে কোনওরকমে উদ্ধার করা হয়। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তাকে উত্তম মধ্যম দেওয়া হয়। অশান্তির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
এরপরই পুলিশ ওই অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি মন্দিরের একপাশে একলাই থাকতেন। কেউ বিশেষ তাঁকে বিরক্ত করতেন না। কিন্তু সেই অসহায় মহিলার প্রতিই নজর পড়ে ওই ব্যক্তির। এদিন কেউ দেখছে না এটা আঁচ করে সে মহিলার কাছে চলে আসে। এরপরই তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা।
স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, ওই ব্যক্তি টিন ভাঙা লোহা ভাঙা বিক্রির জন্য় এখানে আসত। কিন্তু সে যে এমন কিছু করে বসবে সেটা বোঝা যায়নি। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
তবে মন্দির অনেকের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান। সেখানেই মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছিলেন ওই অসহায় মহিলা। কিন্তু সেখানেও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেলেন না তিনি। পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেরই মতে শীতের রাতে অসহায় মহিলারা রাস্তার ধারে, ফুটপাতে, মন্দিরের চাতালে আশ্রয় নেন। আর তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই সব দিক খতিয়ে দেখছে।