কোভিড আবহের মধ্যে গঙ্গাসাগর মেলা হলে সেক্ষেত্রে সংক্রমণ বাড়তে পারে। সেই আশঙ্কায় প্রথম থেকেই গঙ্গাসাগর মেলার বিরোধিতা করে আসছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এবার তাঁর আশঙ্কা 'গঙ্গাসাগর মেলা যেন করোনা সংক্রমনের মেলা না হয়।' মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই আশঙ্কা কথা তুলে ধরলেন অধীর চৌধুরী।এদিন রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ' কোভিড পরিস্থিতির মোকাবেলার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। ফলে গঙ্গাসাগর মেলায় করোনা সংক্রমণ হলে সেক্ষেত্রে মেলার যৌক্তিকতা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে। গঙ্গাসাগর মেলা যেন করোনা সংক্রমণের মেলা না হয়ে ওঠে।'
প্রসঙ্গত কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে ডবল ডোজ নেওয়া থাকলে তবেই গঙ্গাসাগর মেলায় যেতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। মেলায় প্রবেশের ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে হাইকোর্ট। তবে রাজ্যের আরটিপিসিআর টেস্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও এদিন কার্যত প্রশ্ন তুলেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ' এখানে টাকা খরচ করলেই আরটিপিসিআর টেস্ট করা সম্ভব। ফলে সে ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্ট আদৌও বিশ্বাসযোগ্য কি না তা নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে কোভিডের সংক্রমণ যেভাবে বেড়েছে তাতে বহু হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং নার্স করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে বহু হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত ব্যাহত হয়েছে। একাধিক হাসপাতালে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আউটডোরের পরিবর্তে শুধুমাত্র জরুরী বিভাগ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আরও বেশি সংখ্যায় মানুষ করোনা আক্রান্ত হলে রাজ্য সরকার কীভাবে সামলাবেন তাই নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
যদিও রাজ্য সরকার দাবি করেছে, যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতই সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মানা হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলাতে। এরইমধ্যে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে নির্দেশে কিছু পরিবর্তন এনেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে ২ সদস্যের কমিটি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কমিটি কাজ করবে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। অন্যদিকে, অধীরের এই আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকদের একাংশ। গঙ্গাসাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হয় ফলে সেখান থেকে হয়তো কোভিডের নয় স্ট্রেন জন্ম নিতে পারে আশঙ্কা চিকিৎসকদের।