এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি আসলে কাজ করছেন বিজেপি’র ‘বি’ টিম হয়ে। বিহারে ৫টি আসন জেতার পর এবার অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের গন্তব্য পশ্চিমবঙ্গ। ইতিমধ্যেই বাংলার ভোটে লড়াইয়ের ঘোষণা করেছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। আর বিহারে তিনিই জিততে সাহায্য করছেন গেরুয়া শিবিরকে। এভাবেই ওয়েইসিকে কাঠগড়ায় তুললেন বিখ্যাত উর্দু কবি মুনব্বর রানা।
এআইএমআইএমের দাবি, বাংলায় গত তিন বছর ধরে সংগঠন তৈরি করছে তারা। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরে সংখ্যালঘুদের মধ্যে এআইএমআইএমের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দক্ষিণবঙ্গে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংগঠন রয়েছে ওয়েইসির দলের।
কিন্তু কবি মুনব্বর রানা বলেন, ‘ওয়েইসি মুসলিমদের পক্ষে কথা বললেও তাঁর দল বিজেপিকে ২২টি আসনে জিততে সাহায্য করেছে বিহারে। তার মধ্যে এমন ১১টি আসন রয়েছে, যেখানে আরজেডি ও কংগ্রেস সামান্য ব্যবধানে হেরেছে। কেবল বিহার নয়, আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনেও একইভাবে বিজেপিকে সাহায্য করবেন তিনি। উনি মহাজোটের হারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একই কৌশল পশ্চিমবঙ্গের ভোটেও নেবে ওয়েইসি বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য।’
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রকে এআইএমআইএমের মুখপাত্র অসীম ওয়াকার বলেন, ‘বিহারের পর আমাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেব। তিন বছর ধরে ওই রাজ্যে সংগঠনের জন্য পরিশ্রম করেছি। ভোটে লড়ার জন্য সংগঠন তৈরি। বাংলায় আমাদের নেতাদের নাম ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।’
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় এনডিএ ও বিরোধী মহাজোটের মধ্যে। এই দুই প্রধান প্রতিপক্ষের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে এআইএমআইএম। আগে থেকেই মনে করা হয়েছিল, তারা যে কোনও ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে ভোট কেটে। ফলপ্রকাশের পরে তেমনটাই হতে দেখা গিয়েছে।
বাংলাতেও তৃণমূলের সঙ্গে জোটের রাস্তা খোলা রাখছে এআইএমআইএম। ওয়াকারের বক্তব্য, ‘আমরা বিজেপি বিরোধী। বাংলায় বিজেপিকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। জোটের দরজা খোলা। আমাদের সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিতে হবে। না হলে বিহারের মতো একাই লড়াই করব।’
৫টি আসন জিতেছে তারা। তার মধ্যেই ৪টিই উত্তর দিনাজপুর ও মালদহের সীমানায়। ফলে এ রাজ্যের ভোটেও ওয়াইসির দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘এআইএমআইএম মুসলিম দল হিসাবে পরিচিত। আর তাঁরা সেই ভোট নিয়ে বিজেপিকে সাহায্য করতে চায়। তবে বাংলায় তিনি কিছু করতে পারবেন না।’ আর ওয়েইসি বাংলায় কোনও ফ্যাক্টর নয় বলে মনে করেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।