ফের গঙ্গায় ভেসে উঠল মৃতদেহ। শনিবারের পর এবার রবিবার সকালে। শনিবার দুটি মৃতদেহ ভেসে উঠেছিল। রবিবার আরও একটি মৃতদেহ ভেসে উঠল।গত ২ দিনে ৩টি মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখা গেল। মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন মালদহের মানিকচকের বাসিন্দারা।
এদিন সকালে মানিকচকের ভুতনী দ্বীপের বাঁধের ধারে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন মৎসজীবীরা। মৃতদেহটি প্লাস্টিকে মোড়া ছিল। মৎসজীবীরা প্রথমে ওই মৃতদেহটিকে দেখে গ্রামবাসীদের খবর দেয়। গ্রামবাসীরাই স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান সরকারি আধিকারিকরা। এরপর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়।
জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র মালদহের তীরে গঙ্গাবক্ষে ৪২ কিলোমিটার কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। জেলাশাসকের নির্দেশে ব্লক আধিকারিক জয় আহমেদ নিজেই স্থানীয় পুলিশ কর্তা ও ডুবুরিদের দিয়ে নজরদারি চালাতে শুরু করেছেন। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে মৃতদেহ এই রাজ্যের নয়। বাইরে থেকে ভেসে এসেছে।
এর আগে গতকাল মানিকচকের উত্তর কেশরপুর এলাকায় গঙ্গাবঙ্গে দুটি মৃতদেহ ভেসে ওঠে। ওই দুটি মৃতদেহ কমলা রঙের প্লাস্টিকে মোড়া ছিল।পুলিশ ও ব্লক আধিকারিকরা তা উদ্ধার করে মৃতদেহগুলি সৎকারের ব্যবস্থা করে। কিন্তু এই মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্তের কিনা, সেবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না প্রশাসনের আধিকারিকরা। কোথা থেকে এভাবে একের পর এক মৃতদেহ আসছে, সেই বিষয়টি এবারে খতিয়ে দেখছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।