প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন। করোনা সংক্রমণ এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এই লাইফলাইন কার্যত বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে যেতে পারছেন না অনেকেই। যার জেরে ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তাঁরা। গ্রাম ও শহরতলি থেকে ট্রেনে চেপেই কাজে আসতেন অনেকে। তাঁদের রোজগার পুরোপুরি বন্ধ। এবার তার জেরেই রোষ আছড়ে পড়ল মল্লিকপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চালানোর দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।
যাত্রীদের দাবি, স্টাফ স্পেশাল কয়েকটি ট্রেন চলছে। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। সেকারণেই সকলের জন্য় লোকাল ট্রেন চালুর দাবি উঠছে। বুধবার এনিয়ে সোনারপুর স্টেশনে বিক্ষোভ হয়েছিল। বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে সোনারপুর স্টেশনে শুরু হয় বিক্ষোভ। রেলপুলিশ অবশ্য় তাদের সরিয়ে দেয়। এরপর মল্লিকপুরে নতুন করে শুরু হয়ে বিক্ষোভ। এদিকে রেল অবরোধের জেরে স্টাফ স্টেশন ট্রেনও আটকে যায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে রেলপুলিশ। তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা। বারুইপুর থানা থেকে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। এরপরই উত্তেজিত জনতা ফের ঘিরে ধরে পুলিশকে। পুলিশের একটি জিপে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। উত্তেজনা এমন জায়গায় যায় যে পুলিশও সাময়িকভাবে কিছুটা পিছু হঠে। এদিকে অবরোধ, বিক্ষোভের জেরে দূরত্ববিধি লাটে ওঠে। দুপুর পর্যন্ত এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়।