মতুয়াদের সঙ্গে নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য ৪২ আসনে প্রার্থী দেবে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। বুধবার এক বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি কেন্দ্রেই লড়াই করতে চলেছি আমরা। হতে চলেছি সেই নির্ধারক শক্তি যারা পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি কেন্দ্রের ফলাফল।’
গত বছর দুর্গাপুজোয় অসুরের জায়গায় গান্ধীকে বসিয়ে সংবাদ শিরোনামে আসে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। দক্ষিণ কলকাতার রুবি পার্কে এই পুজোর আয়োজন করে তারা। পরে অবশ্য অসুরের জায়গায় থেকে গান্ধী মূর্তিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অতীতে বিজেপির বিভিন্ন মঞ্চে দেখা গিয়েছে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীকে। ২০২১ সালে ভবানীপুরের বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। তবে আজকাল শাসকদলের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখতেই দেখা গিয়েছে তাঁকে।
(পড়ুন। ‘রাহুল গান্ধী আমাকে ফোন করেছিল’, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক নিয়ে মুখ খুললেন মমতা)
বাংলার রাজ্য সঙ্গীত ও পশ্চিমবঙ্গ দিবস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রচূড়। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা স্বার্থে সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে রাজভবনের বাইরে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবস্থান করছিলেন, সেখানেও চলে যান চন্দ্রচূড় গোস্বামী। আবার বিজয়ার পর মিষ্টি ও ফুল নিয়ে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের সদর দফতরে যান চন্দ্রচূড় ও সংগঠনের কয়েকজন। আলিমুদ্দিন তাঁদের জন্য দরজা বন্ধই রাখে।
(পড়তে পারেন। PoK হামারা হ্যায়, তাই কাশ্মীর বিধানসভায় ২৫ আসন রেখে দেওয়া আছে, সংসদে হুঙ্কার অমিত শাহের)
সংগঠন সূত্রে খবর, ঠাকুরনগরের একাংশকেও নিজেদের সঙ্গে টেনেছে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। তাদের নিয়ে একটি আঞ্চলিক কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘অন্যায় ভাবে’ এনআরসি প্রয়োগের বিরুদ্ধে তার ‘ধর্মযুদ্ধ’ শুরু করবে। আর লোকসভা ভোট থেকেই সেই ‘ধর্মযুদ্ধ’ শুরু হবে।
দলের রাজ্য সভাপতির দাবি লোকসভা নির্বাচনে তারা রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী দাবি করেছেন, তারা লোভসভা ভোটে রাজ্যে নির্ধারক শক্তি হবেন।