অফিসার অন স্পেশাল ডিউট। ছোট করে বললে ওএসডি। উত্তরবঙ্গে স্পেশাল অফিসার হিসাব নিযুক্ত সুশান্ত রায়ের গলাতেই এবার উত্তরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ঝড়ে পড়ল একরাশ ক্ষোভ। এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে দীর্ঘদিন ধরেই একটি চালু কথা আছে, বেশি কিছু করলে উত্তরবঙ্গে বদলি করে দেব। এ যেন শাস্তিস্বরূপ। আর রুটিন নিয়মেও উত্তরবঙ্গে বদলি করা হলে চিকিৎসকদের একাংশ চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এবার সেকথাই শোনা গেল উত্তরবঙ্গের স্পেশাল অফিসারের গলাতেও। কার্যত বাধ্য হয়েই এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজের ট্রমা সেন্টার চালুর জন্য ফ্রিল্যান্সার চিকিৎসক নিয়োগের কথা জানালেন ওএসডি।
উত্তরবঙ্গ বরাবরই অবহেলিত, বঞ্চিত। একথা সাধারণ মানুষের একাংশের। তবে রাজ্য সরকার বার বার দাবি করে, গত ১০ বছরে উত্তরবঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল উত্তরবঙ্গে তৈরি করা হয়েছে বলেও সরকারি তরফে দাবি করা হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, ঝা চকচকে বিল্ডিং হয়তো হয়েছে, কিন্তু স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল কী ফিরেছে?
ওএসডি সুশান্ত রায় বলেন, 'এই রাজ্যের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা কলকাতা কেন্দ্রিক। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের ৫০ বছর হয়ে গিয়েছে। এখনও চিকিৎসকের অভাবে নিউরো সার্জারি বিভাগ চালু করতে পারিনি। আক্ষেপ একটাই কলকাতার চিকিৎসকরা উত্তরবঙ্গে আসতে চান না। বহু বদলির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অধিকাংশ আসেননি। কেউ কেউ এসে চলে গিয়েছেন। এখন একজন চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসককে দিয়ে নিউরো সার্জারি বিভাগ চলছে। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসকের অধীনে রোগী ভর্তি করা যায় না। এই বিভাগে রোগীদের চিকিৎসায় বিভিন্ন নার্সিংহোমে কর্মরত ফ্রিল্যান্সার চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে।'