টাকা দিলেই পাওয়া যাবে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে টাকাও দিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। এখন প্রতিশ্রুতি মত চাকরি না পাওয়ায় হুগলির রবীন্দ্রনগর এলাকার এক ব্যক্তির বাড়িতে বিক্ষোভ দেখালেন চাকরি প্রার্থীরা। ওই ব্যক্তির নাম দেবমাল্য সেনগুপ্ত। টাকা ফেরত না দেওয়া হলে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছেন চাকরি প্রার্থীরা।
চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ অনুযায়ী, দেবমাল্য সেনগুপ্ত নিজেকে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব বলে দাবি জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ফেডারেশন নামে একটি অফিসও তিনি খুলে বসেছিলেন। এরপরে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে ওই ব্যক্তি। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি ধাপে ধাপে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। কেউ এক লক্ষ, কেউ দু'লক্ষ আবার কেউ চাকরির প্রতিশ্রুতি পেয়ে তারও বেশি টাকা দিয়েছেন দেবমাল্যকে।
তাদের অভিযোগ, গত পাঁচ বছর ধরে এই ভাবে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এরপর গত ৮ মাস ধরে তিনি উধাও রয়েছেন। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর থেকেই দেবমাল্যের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে দেবমাল্যর কোনও খোঁজ না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে ২০ জনেরও বেশি চাকরিপ্রার্থী জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখান। চাকরিপ্রার্থীদের একজনের অভিযোগ, 'ও চাকরি দেওয়ার নাম করে ধাপে ধাপে আমাদের কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে। এমনকি আমাদের মানবাধিকার কমিশনের কার্ড করে দিয়েছে। যার জন্য ১২ হাজার টাকা নিয়েছে।' সেই কার্ড ভুয়ো বলেই দাবি করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
যদিও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন দেবমাল্যর স্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, তার স্বামী নিজেও চাকরির জন্য ঘোরাফেরা করছেন। হাইকোর্টের এক আইনজীবীকে চাকরির জন্য অনেক টাকাও দিয়েছেন তার স্বামী। কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি বলে তার অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীদের কড়া হুঁশিয়ারি তারা দ্রুত টাকা ফেরত না পেলে থানায় অভিযোগ করবেন।