শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষকে খুনের হুমকি।
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল শিলিগুড়িতে। শনিবার শিলিগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়-সহ দলীয় নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। টুইটারে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি শংকর ঘোষের।
বিগত দিনে শংকর ঘোষ ছিলেন ডিওয়াইএফের পরিচিত নেতা। তবে পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপির বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে বিজেপির নানা আন্দোলনে তাকে একেবারে প্রথম সারিতে দেখা যায়। তবে এবার সেই শংকর ঘোষকেই খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। ঠিক কী অভিযোগ তাঁর?
শংকর ঘোষ বলেন, গত ২৭ তারিখে কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে আমি টুইটারে পোস্ট করেছিলাম। এরপর দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তারপর জানতে পারি আমায় টুইটারে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমাকে গ্রেফতার করে মেরে মেরে ফেলা দরকার বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কাল রাতে আমি ওই খুনের হুমকিটা ভালো করে দেখি। এরপর বুঝতে পারি যে টুইটার হ্যান্ডেল থেকে আমাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করা হয়। ওখান থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়। মৃত্যুঞ্জয় বর্মন যেভাবে মারা গিয়েছেন তেমনই বলা হয়েছে আপনাকে গ্রেফতার করা হোক ও মেরে ফেলা হোক। পুলিশকে দিয়ে আমাকে মারার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে কিনা তা দেখা দরকার। এই পোস্টে ট্যাগ করা হয়েছে নব জোয়ারকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি নিয়ে আমি বার বার বলেছি। সেটা নিয়েই করা হল কিনা তা জানতে চেয়েছি পুলিশের কাছে।
শংকর বলেন, মালদার ঘটনা নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী বলছেন পাগলের ঘটনা। কিন্তু আমার প্রশ্ন পাগলের কাছে আসল পিস্তল কীভাবে আসে? আমি তো সাধারণ স্কুটি নিয়ে একা একা ঘুরে বেড়াই। আমার পেছনেও কেউ থাকে না। তাহলে আগামী দিনে যদি কেউ আমায় গুলি করে মারে তবে বলবে পাগল মেরে ফেলেছে। এরকম পাগলের সংখ্যা যদি আমাদের রাজ্যে বেড়ে যায় তবে তা গভীর অসুখ।
এদিকে এদিন ওই পোস্টের প্রতিবাদে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন শংকর ঘোষ। তবে শংকর ঘোষকে খুনের হুমকির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে।