বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল করল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় সন্দেহভাজন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিল তিনজন। পুলিশ তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়ায় গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ওয়ান শাটার বন্দুক,দুটি রামদা এবং একটি বুলেট। পুলিশের অনুমান, ডাকাতি করার উদ্দেশ্যেই তারা এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিন ডাকাতের নাম শেখ খলিল, মনোজ রাম ও কার্তিক দাস। ধৃতরা সকলেই হরিশ্চন্দ্রপুর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় ওই ৩ যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তাদের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ প্রথমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তিনজনে আলাদা আলাদা কথা বলায় পুলিশের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। এরপরে তাদের আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। আর তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে আসে রামদা, বন্দুক এবং বুলেট। ধৃতরা জেরায় ডাকাতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মঙ্গলবার তাদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। তার ভিত্তিতে আদালত তাদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন, 'গতকাল গভীর রাত্রে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার একটি জায়গায় হানা দিই। সেখানেই ওই তিন দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছি। আমাদের সন্দেহ ওরা এলাকায় ডাকাতি উদ্দেশ্য জড়ো হয়েছিল।' স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের দাবি, এলাকায় কয়েক দিন ধরে ডাকাতি এবং ছুরির মতো ঘটনা বার ছিল। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে যেভাবে তাদের গ্রেপ্তার করেছে তাতে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা।