কলকাতায় নেমেই বঙ্গ সফরের সুরটা বেঁধে দিয়েছিলেন। উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বাঙালি আবেগ। সেই রেশ ধরেই স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়ি থেকে দু'দিনের বাংলা সফর শুরু করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মাল্যদান করলেন শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তিতে। সেখানে নাম না করে কিছুটা সময়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগা ছাড়া সেই পর্বে বিশেষ রাজনৈতিক মন্তব্যের দিকে ঘেঁষলেন না। বরং জোর দিলেন জনসংযোগে।
পরে অবশ্য মেদিনীপুরের জনসভার মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আগাগোড়া আক্রমণ শানালেন। প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন শাহ। যিনি ২০২১ সালে কলকাতা এবং দিল্লিতে একই সরকার গড়ার আহ্বান জানান। সেই সুরেই বঙ্গবাসীর শাহের আবেদন, কংগ্রেসকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সুযোগ পেয়েছে বাম এবং তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার বিজেপিকেও পাঁচ বছর সুযোগ দেওয়া হোক।
অমিত শাহের বঙ্গ সফরের প্রথম দিনের আপডেট :
>> অমিত শাহ : এটা তো শুরু, ভোট আসতে আসতে দিদি তৃণমূলে শুধু আপনি একা থেকে যাবেন।
>> ‘তোলাবাজ ভাইপো হটাও’, মমতাকে সরাসরি আক্রমণ করে কী কী বললেন শুভেন্দু?
>> সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। শুভেন্দু বলেন, ‘দিনকয়েক আগে এই মাঠে তৃণমূলনেত্রী বলে গিয়েছেন যে কাঁথিতে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। অধিকারীদের মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। এবারও দ্বিতীয় হবেন। প্রথম হবে ভারতীয় জনতা পার্টি।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি কাউকে মা বলতে হয়, ভারতমাতাকে বলব। আর কাউকে নয়।’ (ছবি সৌজন্য সংগৃহীত)
>> অমিত শাহকে ‘আন বান শান’ বলে অভিহিত করলেন শুভেন্দু। ক্ষোভ প্রকাশ করে জানালেন, যখন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন তৃণমূলের কেউ খবর নেননি। অমিত শাহ দু'বার খবর নিয়েছেন।
>> শুভেন্দুর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দিলেন শাহ। তারপর শাহকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন শাহ।
>> এতদিনের জল্পনায় ইতি পড়ল। বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে যোগ দিলেন শীলভদ্র দত্ত, সুনীল মণ্ডল-সহ একঝাঁক নেতানেত্রী।
>> মঞ্চে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং শাহ। দু'জনে পাশাপাশি বসেছেন। শুভেন্দুকে 'নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কাণ্ডারী' বলা হয়।
>> ইতিমধ্যে শুভেন্দু সভাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন।
>> ছবি তোলার পর সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিলেন শাহ।
>> শালবনি ব্লকের বালিঝুড়িতে কৃষক সনাতন সিংয়ের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের জন্য গেলেন অমিত শাহ।
>> অমিত শাহ বলেন, 'এটা আমার সৌভাগ্য যে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থানে এসে এখানকার মাটি নিজের কপালে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালিদের অবদান কোনওদিন ভোলা যাবে না। ক্ষুদিরাম বসু যতটা বাংলার, ততটাই ভারতের। রামপ্রসাদ বিসমিল্লা যতটা উত্তরপ্রদেশের, ততটা দেশের ছিলেন। উনি শতকের পর ধরে দেশের যুবপ্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার হবে।'
>> শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মাল্যদান করলেন শাহ। ক্ষুদিরামের পরিবারের সদস্যদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
>> মেদিনীপুরে পৌঁছাল শাহের কপ্টার। ইতিমধ্যে হেলিকপ্টার থেকে নেমে পড়েছেন শাহ।
>> পঞ্জিকার সময় দেখে কাঁথির শান্তিকুঞ্জ থেকে বেরোলেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের পুরনো গাড়িতে করেই মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা দিলেন। তাঁর কপালে গেরুয়া তিলক।
>> কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিলেন অমিত শাহ। কপ্টারে করে মেদিনীপুরে যাচ্ছেন তিনি।
>> স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়ি থেকে বেরিয়ে শাহ বলেন, ‘আজ আমার কাছে সৌভাগ্য ও আনন্দের দিন। কারণ আমি এই জায়গায় এসেছি।' তিনি জানান, সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে ভারত এবং বিশ্বের চেতনা জাগ্রত হবে। অল্পদিনেই ভারতীয় জ্ঞানকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব এবং বন্ধুত্বের বার্তার প্রচার করেছিলেন। আধুনিকতার সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার মিশেল করেছিলেন তিনি। সঙ্গে শাহ আরও যোগ করেন, 'ভারতমাতার আরাধনার জন্য উনি ভারতকে আর্জি জানিয়েছিলেন। ৫০ বছরের মধ্যে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছেন। সেই সময় স্বামীজির মূল্যবোধের যে গুরুত্ব ছিল, তা এখনও আছে।'
>> স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি ঘুরে দেখেন শাহ। ঘুরে দেখেন মিউজিয়াম। স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য দেন।
>> উত্তর কলকাতায় সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছালেন শাহ। সেখান থেকেই দু'দিনের বঙ্গ সফর শুরু করলেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা।
>> নিউটাউনের পাঁচ তারার হোটেল থেকে বেরোলেন অমিত শাহ। তাঁর গন্তব্য স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়ি।
>> উত্তর কলকাতায় সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের পৈতৃক বাড়িতে যাবেন অমিত শাহ। সেখান থেকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কপ্টারে মেদিনীপুরে পাড়ি দেবেন। মেদিনীপুরে পৌঁছে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেবেন। তারপর শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তি উন্মোচন করে যাবেন মহামায়া মন্দিরে। সেখানে মিনিট ১৫-২০ থাকবেন। এক কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সেরে দুপুর ২ টো ৩০ মিনিট থেকে মেদিনীপুরের কলেজ ময়দানে জনসভা করবেন শাহ। সেই সভা ঘিরেই সকলের নজর আছে। কৈলাস জানিয়েছেন, মেদিনীপুরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেবেন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য, জেলার ছোটো-বড়ো নেতা, বিধায়ক, সাংসদও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন। শুভেন্দুর সঙ্গে সবমিলিয়ে ৫০,০০০ তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মী বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বলে দাবি করেছেন কৈলাস।