বাঁকুড়ার ইন্দপুরে মহিলা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠল। সুদের কারবার নিয়ে বচসার জেরে খুন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই কি খুন? না কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইন্দপুরে নিজের বাড়ির মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এক সহায়িকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। তবে খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবারের পাশাপাশি পুলিশও।
ঠিক কী বক্তব্য পুলিশ সুপারের? এই ঘটনা নিয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন, ‘ইন্দপুরের বৃন্দাবনপুর গ্রামের বাড়িতে ভারতী গোস্বামীর(৫১) দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা খুব দ্রুত অপরাধীকে ধরতে পারব বলে আশাবাদী।’
ঠিক কী ঘটেছে ইন্দপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃন্দাবনপুরে গ্রামের মাঝেই রয়েছে ‘ভারতী ভিলা’। সেখানে একাই থাকতেন ভারতীদেবী। তাঁর স্বামী প্রদীপ গোস্বামী ও ছেলে সন্দীপ কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। আর মেয়ে জয়শ্রীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। পাশের গ্রাম ডাঙারামপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়িকা পদে কাজ করতেন ভারতীদেবী। তাঁর বাড়ির দু’দিকে রয়েছে দু’টি দরজা। পাশে জঙ্গলও আছে। মঙ্গলবার তাঁকে বাইরে থেকে জল আনতেও দেখেছেন অনেকে। কিন্তু তারপর মেয়ে জয়শ্রী ভারতীদেবীকে ফোন করে পাননি। তখন প্রতিবেশী পরিবারে ফোন করেন। প্রতিবেশী জয়দেব গোস্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রী দেখতে গিয়ে সাড়া না পাওয়ায় আমি গিয়েছিলাম। পিছনের দরজায় বাইরের দিক থেকে শিকল তোলা ছিল। সেটি খুলতেই দেখি ভারতীদেবী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তখন থানায় খবর দিই।’
ঠিক কী বক্তব্য পরিবারের? পরিবারের সদস্যরা জানান, ভারতীদেবীর বাঁ পায়ে একটু সমস্যা ছিল বলে খুঁড়িয়ে চলতেন। কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। পরিচিত কেউ খুন করে থাকতে পারে বলেই মনে হচ্ছে। এই বিষয়ে ছেলে সন্দীপ বলেন, ‘মা অনেককে টাকা ধার দিয়ে সাহায্য করেছেন। মায়ের একটি ডায়েরিতে তার হিসেব আছে। তাই খুন হতে হল নাকি বুঝতে পারছি না। অভিযুক্তদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।’