ডায়মন্ড হারবারের শিরাকোলে বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের জবাব ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকেই দিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ডায়মন্ড হারবারের কেল্লার মাঠের জনসভায় তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কখনও শুনেছেন যে ভিআইপি কনভয়ে মিনিবাস, তার পর ১৫০টা মোটরবাইক থাকে? ২০১৯–এর ১৪ মে যারা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল তাদের মধ্যে অন্যতম রাকেশ সিং। তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই কনভয়ে।’
অভিষেকের কথায়, ‘কেন্দ্রের জনবিরোধী প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, সাধারণ মানুষের অভিযোগ এমন জায়গায় পৌঁছিয়েছে যে কিছু মানুষ বিজেপি–র কনভয়ে পথ আটকায়। কেউ হয়তো একটা ইট মেরেছে।’ তখনই জনসাধারণের প্রতি অভিষেক বার্তা দেন, ‘আগামীদিনে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ইটের মাধ্যমে নয়, ইভিএমের মাধ্যমে দিতে হবে।’
অভিষেকের জনসভায় এদিন কাতারে কাতারে লোক দেখা যায়। সে প্রসঙ্গ তুলেই তিনি বিজেপি–কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমাদের জনসভা করতে গেলে মিনিবাস ভরিয়ে কলকাতা থেকে লোক আনতে হয় না। মাত্র তিনটে ব্লক থেকে লোক এসেছে— ডায়মন্ড হারবার–১, ডায়মন্ড হারবার–২ আর ফলতা। তাতে যা পরিস্থিতি যে মাঠ উপড়ে পড়েছে। যত দূর চোখ যাচ্ছে মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। বলতে হচ্ছে যে আজ আমাদের মাঠ ছোট হয়েছে।’
কেল্লার মাঠে মিটিং করার পিছনে কী কারণ সেটাও তুলে ধরেন অভিষেক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আপনারা জানেন, ১০ তারিখে বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি ডায়মন্ড হারবারে মিটিং করতে এসেছিলেন। মিটিংয়ে লোক কেমন হয়েছিল তা মিডিয়া দেখায়নি। কিন্তু মিডিয়া দেখিয়েছে যে তাঁদের ইট–পাটকেল মেরে হেনস্থা করা হয়েছে।’
অভিষেকর কটাক্ষ, ‘বিজেপি নিজেকে এই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বলে দাবি করে। তা সত্ত্বেও লাইট হাউস ময়দানে সর্বভারতীয় সভাপতির সভায় লোক হয়েছিল মাত্র ৪০০–৪৫০। চা–ওয়ালা, মুড়ি–ওয়ালা, প্রেস–মিডিয়া— সব মিলিয়ে ওই ৫০০। সেটা যাতে মানুষের সামনে না উঠে আসে তাই পূর্বপরিকল্পিতভাবে কনভয়–কাণ্ড করানো হয়েছে।’
এর পরই বিজেপি–র বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, ‘আপনারা কখনও শুনেছেন যে ভিআইপি কনভয়ে মিনিবাস, তার পর ১৫০টা মোটরবাইক থাকে? ২০১৯–এর ১৪ মে যারা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল তাদের মধ্যে অন্যতম রাকেশ সিং। তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই কনভয়ে।’