একটি এক কোটি টাকার লটারির টিকিটের তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে পরপর জেরা করছিল সিবিআই। আর এরই মধ্যে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই দাবি করল, আরও তিনটি লটারির টাকার হদিশ পেয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে দুটি লটারির টাকা ঢুকেছে সুকন্যার অ্যাকাউন্টেই। যার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। এছাড়া ২০১৯ সালে অনুব্রতর একটি অ্যাকাউন্ট লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল বলে দাবি করলেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই লটারি জয় নিয়ে ক্রমে চাপ বাড়ছিল অনুব্রত মণ্ডলের ওপর। লটারির টিকিট নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হতেই সরাসরি অনুব্রতর কাছেই পৌঁছে যান সিবিআই তদন্তকারীরা। আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে কেষ্টকে জেরা করা হয়। এদিকে অনুব্রতর মেয়েকেও পরপর তলব করা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, ৫৪০৪৫ নম্বর যে টিকিটে অনুব্রত এক কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কোটি টাকা জিতেছিলেন অনুব্রত। সেই টিকিট কেনা হয়েছিল বীরভূমের নাহিনা গ্রাম থেকে। বোলপুর থেকে সেই গ্রামটি অবস্থিত ১৫ কিমি দূরে। লটারি জয়ের প্রায় ১০ মাস পর এই নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে সিবিআই।
এর আগে গতকাল বোলপুরের লটারি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। লটারির টিকিট বিক্রেতা মুন্না শেখ সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দেন। সেখানে প্রায় একঘণ্টা ছিলেন তিনি। সিবিআই ক্যাম্প থেকে মুন্না বেরিয়ে এলে তাঁকে অনুব্রতর লটারি জয় নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তখন মুন্না জানান, তিনি অনুব্রতকে কোনওকালে লটারি বিক্রি করেননি।
উল্লেখ্য, ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’ থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন এক টিকিট বিক্রেতা। সেই বিক্রেতার থেকে লটারি কেনেন মুন্না। তারপর সেই টিকিট সে বিক্রি করে। তাঁর বিক্রি করা একটি টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন অনুব্রত। বিজ্ঞাপনে নাম ওঠে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির। তদন্তকারীদের সন্দেহ, কালো টাকা সাদা করার চক্রের সঙ্গে জড়িত এই লটারি জয়। সেই মতো তদন্ত করছে সিবিআই।