কার্যত বহরমপুরকাণ্ডের ছায়া এবার দক্ষিণদিনাজপুরে। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জের। এক কিশোরীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। এদিকে অভিযুক্ত যুবককে বাধা দিয়ে গিয়েছিলেন অপর এক যুবক। আর তার জেরে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। দক্ষিণদিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরের ঘটনা। গুলিবিদ্ধ ওই যুবকের নাম রাজা দাস(২০)। মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবক মানিক হালদারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল ওই কিশোরী। তার বাড়ি বুনিয়াদপুর পুরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডে। সে স্থানীয় কাউন্সিলরের মেয়ে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। রেহাই পায়নি সেই কন্যাও। এদিকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে শেরপুর মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় আগে থেকেই দাঁডিয়েছিল ওই যুবক। ওই কিশোরীকে দাঁড় করিয়ে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে ওই যুবক। এদিকে ওই কিশোরী তাকে এড়িয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এনিয়ে তাদের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। প্রেমে প্রত্যাখাত হয়েই ওই যুবক বেপরোয়া হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
চিৎকার শুনে পাশের ক্লাব থেকে ছেলেরা ছুটে আসে। তারা ওই কিশোরীকে বাঁচাতে যায়। সেই সময় ওই যুবক এক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। তাতেই আহত হয় স্থানীয় এক যুবক। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় কিশোরী। এদিকে পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাঁশঝাড়ের পাশ থেকে একটি দেশি রিভালবার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। এদিকে গোটা ঘটনায় ফের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে কিশোরীর পরিবারের দাবি, ওই যুবকের বাড়ি কুশমন্ডি এলাকায়। সে আগে দিল্লিতে থাকত। পরে কিশোরীর বাড়ির কাছেই মামার বাড়িতে সে থাকত। সে ওই কিশোরীকে উত্য়ক্ত করত। তারই পরিণতিতে এই ঘটনা।