হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যেই এবার বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি তাঁকে খুনের চেষ্টারও অভিযোগ উঠল। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। এই ঘটনায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে ভোটে, মুখোমুখী লড়া দুই যুযুধান শিবির বিজেপি ও তৃণমূল। এদিন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারির সমর্থনে রোড শো—এ অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে আক্রমণ করেন তিনি। তবে এর পাল্টা জবাবও দিয়েছে তৃণমূল।
সোমবার রাতে পুলিশ হাসপাতালে ঘটনার খোঁজ নিতে গেলে, তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামে ভোটের দু’দিন আগে, এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ আক্রান্ত মহিলার স্বামীর দাবি, সোমবার রাতে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, ঘরের দরজা হাট করে খোলা রযেছে। ভিতরে ঢুকে তিনি দেখতে পান, একটি খাটের সঙ্গে হাত-পা বাঁধা অবস্থায়, অচৈতন্য হয়ে পড়ে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তিনি বিজেপি করার কারণে তাঁর স্ত্রীর ওপর হামলা করা হয়েছে বলে দাবি ওই ব্যক্তির।
নির্যাতিতার স্বামী ওই বিজেপি কর্মী জানিয়েছেন, ‘ স্ত্রীর ওপরে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি করি বলে এই হামলা হয়েছে।’
বিজেপি’র অভিযোগ, তাদের এক কর্মীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে খুনের চেষ্টা করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘নন্দীগ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।’
যদিও বিজেপির করা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নের্তৃত্ব। নন্দীগ্রামের জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতির দাবি, এই ধরনের ঘটনার কথা জানা নেই। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন। কারণ, তৃণমূল এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না।
নন্দীগ্রামে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ তিনি বলেন, ‘যেখানে মমতা থাকছেন, তার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কটাক্ষের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘কোথায় বাংলায় নারী সুরক্ষা?’
নির্বাচনের আবহে এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।