শ্বশুরবাড়িতে না ফেরায় স্ত্রীকে সিঁদ কেটে ঢুকে কোপালেন এক যুবক। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার কাশীপুর গ্রামের। আহত বধূ পায়েল বিশ্বাসকে চিকিৎসার জন্য বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী গৌতম বিশ্বাস পলাতক। স্বামীর শাস্তি দাবি করেছেন পায়েলদেবী।
আক্রান্ত বধূ জানিয়েছেন, গোপালনগর থানা এলাকার অম্বরপুরের বাসিন্দা গোপালের সঙ্গে ৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। তাঁর ২ সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁকে অত্যাচার করতেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তাঁদের চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকবার বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতেও অত্যাচারের মাত্রা কমেনি। অবশেষে মাস দুয়েক আগে শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন বধূ। সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন তিনি। তাঁর দাবি, এর পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে ফেরার জন্য তাঁকে লাগাতার চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি পায়েল।
আরও পড়ুন: মমতার বয়সে রাজনীতি ছেড়ে দেব, বললেন অভিষেক, ৭৩ বছরের মোদীকে দিলেন সার্টিফিকেট
অভিযোগ, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সিঁদ কেটে পায়েলের বাপের বাড়িতে ঢোকেন তাঁর স্বামী গৌতম। তখন ২ সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন ওই বধূ। অভিযোগ, রাতে তিনি জল খেতে উঠলে ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা করেন গৌতম। স্বামীকে বাধা দিতে গিয়ে বধূর দেহের একাধিক জায়গায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত লাগে। ধস্তাধস্তির শব্দে জেগে ওঠেন বধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা। বেগতিক দেখে মোটরসাইকেল ফেলেই পালায় গৌতম।
আরও পড়ুন: বিবাহিত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারদের শ্বশুরবাড়ির জেলায় বদলি, প্রস্তাব গেল নবান্নে
ঘটনার পর আহত পায়েল বিশ্বাসকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধূ। স্বামীর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। পায়েল বলেন, ‘ওরা টাকা ছাড়া কিছু চেনে না। আমি ৮ বছর অত্যাচার সহ্য করেছি। কিন্তু সন্তানদের কথা ভেবে অবশেষে শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। আমি আর ওখানে ফিরব না।’