ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে শিশুকে খুনের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে দেহ উদ্ধার হতেই উত্তেজনা ছড়াল বালুরঘাটে। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল অভিযুক্তের বাড়িতে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি। রাতে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বাবা। সন্দেহ প্রকাশ করেন, প্রতিবেশী যুবক মানস সিং ছেলেকে অপহরণ করে থাকতে পারে। এর পর পুলিশ যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জেরায় সে স্বীকার করে, শিশুটিকে খুন করে বাড়ির পাশের খালে ফেলে দিয়েছে সে। এর পর খাল থেকে উদ্ধার হয় শিশুর দেহ।
জেরায় ২৭ বছর বয়সী মানস জানিয়েছে, শিশুটির সঙ্গে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল সে। তখন শিশুটির ভুলে ঘুড়িটি ছিঁড়ে যায় এতেই মেজাজ হারায় সে। শিশুটিকে সে তার মা - বাবা ও স্ত্রী মিলে খুন করে। প্রথমে ধারালো কিছু দিয়ে তার গলার নলি কাটা হয়। তার পর ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় মাথায়।
দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন। অভিযুক্ত দোষ কবুল করেছে। পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ওদিকে দেহ উদ্ধারের পরেই এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেন। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।