কিছুদিন আগেই ডানকুনিতে দিনের বেলা বন্দুক উঁচিয়ে ডাকাতির ছবি ধরা পড়েছিল সিসি ক্যামেরায়। তবে এবার আর দিনের বেলায় নয়। রাতের অন্ধকারে বাঁকুড়ার পুয়াবাগান মোড়ে ৬০ এ জাতীয় সড়কের উপর একটি সোনার দোকানে সিঁদ কাটে চোরের দল। এরপর তারা ভেতরে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে সোনাদানা, অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল।
তবে দুষ্কৃতীদের এই কৌশল দেখে হতবাক সকলেই। বর্তমানে সিঁদ কেটে চুরির বিশেষ নজির পাওয়া যায় না। তবে হাইটেক যুগে মান্ধাতার আমলের কৌশল মেনে সিঁদ কেটে সোনা হাওয়া করে দিল দুষ্কৃতীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাড়া ঘরেই সোনার দোকান লালচাঁদ মোহন্তর। আর রবিবার রাতে সেই দোকানেই হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। দোকানের সামনেটা দেখে বোঝার উপায় নেই। পেছনে দেখা যায় দেওয়ালে বিশাল গর্ত। সেখান দিয়েই ভেতরে ঢুকেছিল চোরের দল। এরপর ভেতরে ঢুকে নিশ্চিন্তে লুঠপাট চলেছে।
বাসিন্দাদের মতে, একটা সময় ছিল যখন গৃহস্থের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে সিঁদ কাটা হত। বিশেষত মাটির বাড়িতে সিঁদেল চোরেদের উৎপাতে ঘুম উড়ত বাসিন্দাদের। একেবারে নিখুঁতভাবে সিঁদ কাটা হত। তবে কারা এই ধরনের সিঁদ কাটতে অভ্যস্ত তা বিলক্ষণ ধরে ফেলতেন থানার দারোগা। কারণ এক একটি দলের সিঁদ কাটার ধরণও আলাদা রকম হত। এনিয়ে নানা কাহিনি আজও মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এদিন বাঁকুড়ায় সিঁদ কাটল কে?