পঞ্চাশ শয্যার সেফ হোম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ।শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫০ শয্যা-বিশিষ্ট সেফ হোমটি উপসর্গহীন বা কম উপসর্গযুক্ত রোগীদের রাখার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি শয্যায় অক্সিজেন থাকবে বলেও জানিয়েছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে এই সেফ হোম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বেলুড় ও বালির নিকটবর্তী এলাকার রোগীদের ভরতি করার ব্যবস্থা করা হবে।
মঠ কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, যাঁদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ছে, তারা যথা শীঘ্রই যেন নিজেদের ঘরবন্দি করার ব্যবস্থা করেন। তাঁরা আরও জানিয়েছে, এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যাদের এতই ছোটো ঘর যে, সেখানে নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখা একদমই অসম্ভব ব্যাপার। সেক্ষেত্রে তাঁরা অন্য পরিবারদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন।
বিজ্ঞপ্তিতে মঠ জানিয়েছে, এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা এই পরিষেবা চালু করার ব্যবস্থা করেছি। মঠ কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এই সেফ হোমে উপযুক্ত চিকিৎসক ছাড়াও মঠের স্বেচ্ছাসেবীরা থাকবেন। তাঁরাই রোগীদের সমস্ত দিক খেয়াল রাখবেন। কীভাবে ভরতি হতে হবে, কীভাবে খাবার পাওয়া যাবে বা চিকিৎসকদের সঙ্গে কি করে যোগাযোগ রাখতে হবে বা অসুস্থ রোগীরা পরিবারের সঙ্গে কীভাবেই বা যোগাযোগ রাখবেন। এছাড়াও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা কীভাবে পাওয়া যাবে, সেই সমস্ত দিক মঠের স্বেচ্ছাসেবীরা দেখবেন।
মঠ কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রী এবং ভক্তদের কাছে সাধ্যমতো দান করার আবেদনও জানিয়েছে। মঠের বক্তব্য, আগামী ৬ মাসের জন্য এই পরিষেবা চালাতে গেলে ৮০ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। তাছাড়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা ও পরিকাঠামোর প্রয়োজন পড়বে যেমন, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর আর অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়াও প্রয়োজন পালস অক্সিমিটারের মতো যন্ত্রগুলো। এছাড়াও জরুরিভিত্তিক ওষুধপত্র মজুত করারও প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টাব্যাপী চারজন করে ডাক্তার, ছ'জন করে নার্স এবং ১২ জন জুনিয়র ডাক্তার অনবরত সেখানে ডিউটিতে রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়াও রোগীদের জন্য ২০টি ভ্রাম্যমান শৌচালয়েরও দরকার রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভক্তরা যাতে উপরোক্ত এই সমস্ত জিনিসগুলোর জন্য যে যাঁর সাধ্যমতো অর্থ সাহায্য করেন, সেই আবেদনও জানিয়েছে মঠ কর্তৃপক্ষ।